বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) রাজশাহীতে ৯৬.৬৩ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। এখানে মোট প্লটের সংখ্যা ৩২৯টি। বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে ৩২৫টি। মোট শিল্প ইউনিটের সংখ্যা ২০২টি এবং উৎপাদিত ইউনিটের সংখ্যা ১৮৭টি। অবশিষ্ট ৪টি অফিসের কাজে ব্যবহার করা হয় বলে বিসিক সূত্রে জানা গেছে। বিসিক এ রয়েছে বিভিন্ন ধরনের কারখানা। প্রতিদিন এখান থেকে কোটি কোটি টাকার পণ্য উৎপাদন হয়। সেই পণ্যগুলো দেশের বিভিন্ন স্থানে চলে যায়। পণ্য বহনের জন্য আসে ছোট বড় অনেক ধরনের বাহন। কিন্তু বিসিক এর প্রায় প্রতিটি রাস্তা চলাচলের অযোগ্য। একাধিক কারখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি, শ্রমিক ও পথচারীরা বলেন, শিল্প কারখানা হচ্ছে দেশের চালিকা শক্তির অন্যতম একটি মাধ্যম। সরকার এখান থেকে হাজার হাজার কোটি রাজস্ব পেয়ে থাকে। অথচ এখানকার পরিবেশ অত্যন্ত খারাপ এবং প্রতিটি রাস্তা চলাচলের অযোগ্য। সামান্য বৃষ্টি হলেই আর যাতায়াত করা যায়না। শ্রমিক আলিনুর, বাবলা ও মতিউরসহ অন্যান্যরা বলেন, বিসিক এর ভিতরে এমনও রাস্তা রয়েছে দেখলে মনে হবে কোনদিন এটা কার্পেটিং করা হয়নি। কাঁদা আর পানিতে ভরে যায়। এছাড়াও খড়া মৌসুমে ধুলাবালিতে চলাচল আরো কষ্টকর হয়ে পড়ে। এ বিষয়ে রাজশাহী বিসিক এর উপ-মহাব্যবস্থাপক জাফর বায়েজিদ বলেন, প্রতিটি রাস্তা মেরমাত করার জন্য ইতোমধ্যে বাজেট করে রিকুইজেশান পাঠানো হয়েছে। দ্রুত এই সকল রাস্তার কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি। কারখানা বন্ধ বিষয়ে তিনি বলেন, তাদের জানামতে বিসিক এ কোন কারখানা একেবারে বন্ধ হয়নি। যেগুলো সাময়িক সমস্যায় পড়েছে তাদের সাথে কথা বলে দ্রুত কারখানা চালুর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সেইসাথে আরো উদ্যেক্ত্যা তৈরীর কাজও করছেন বলে জানান এই কর্মকর্তা।