নিজের অর্থ ব্যয়ে বালু ক্রয় করে এবং নিজেরাই স্বেচ্ছাশ্রমে কতিপয় যুবক পলাশবাড়ী উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের কুমারগাড়ী গ্রামের গুরুত্বপূর্ণ কাঁচা রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করে সংস্কার করে প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখেছেন। জানা গেছে, ওই উপজেলার কুমারগাড়ী, বালাবামুনিয়া, নদীরপার, হালিমনগর, মন্ডলপাড়া, বালুয়াপাড়া, ফকিরহাটসহ প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে প্রায় ৬ থেকে ৭ শতাধিক মানুষ যাতায়াত করে। বেশকিছু দিন আগে টানা বৃষ্টির পানির ঢলে রাস্তাটি ভেঙে গিয়েছিল। রাস্তাটির বেহাল অবস্থা হওয়ায় এ্যাম্বুলেস বা কোন পরিবহনই ওই রাস্তা দিয়ে কুমারগাড়ি গ্রামে প্রবেশ করতে সক্ষম হচ্ছিল না। ফলে গ্রামবাসীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছিল। স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা সংস্কারের কাজে অংশ নেয়া কুমারগাড়ী গ্রামের বাসিন্দা ময়নুল ও রউফের সাথে কথা বলে জানা যায়, এটি গ্রামে প্রবেশের এক মাত্র রাস্তা। দীর্ঘদিন থেকে রাস্তাটির বেশ কিছু অংশ সংলগ্ন পুকুরে ভেঙে পড়ে। ফলে ওই রাস্তা দিয়ে কোন ভ্যান-সাইকেল এমনকি পথচারিদের চলাচল ছিল ঝুঁকিপূর্ণ। ওই রাস্তাটি সংস্কার করা না হলে রাস্তাটির বড় অংশ ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা ছিল। এ রাস্তা দিয়ে কয়েকটি গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে। এদিকে মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকেও রাস্তাটি সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছিল না। ফলে ওই গ্রামের কতিপয় যুবক বাধ্য হয়েই জনকল্যাণে স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তাটির ক্ষতিগ্রস্ত অংশ সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। এব্যাপারে মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, নিজ উদ্যোগে রাস্তা সংস্কারের কাজ করছেন গ্রামবাসী যুবকেরা। তবে এই রাস্তাটি সংস্কার ও পাকা করার জন্য উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় বরাদ্দ পেলেই রাস্তাটির উন্নয়ন ও সংস্কার হবে বলে তিনি উলে¬খ করেন।