ভুলে সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের মেয়ের নেগেটিভ রিপোর্ট দেয়া হয়। প্রকৃত রিপোর্ট পজিটিভ; পরে ঠিক করা হয় বলে দাবি করেছেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টারের পরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল খায়ের মোহাম্মদ শামসুজ্জামান।
২৭ জুলাই সোমবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি ভুলের দায় স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের ভুলের কারণে এই সমস্যা তৈরি হয়েছে।
ঐশীর রিপোর্টের বিষয়ে পরিচালক বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আমরা প্রথমে কিছু সংখ্যক যাত্রীর ফলাফলের রিপোর্ট এবং রাত সাড়ে ৯ টায় বাকি যাত্রীদের রিপোর্ট পাঠাই এমআইএস ইমিগ্রেশন এবং ডিএনসিসি’র এর ইমেইলে। যখন এই ডাটাগুলো আমাদের অপারেটররা এমআইএস এর সফটওয়্যারে এন্ট্রি দেওয়ার কাজ করে, প্রথম যাত্রার ইমেইলে প্রাক্তন মন্ত্রী শাজাহান খানের কন্যা ঐশী খানের রিপোর্ট ছিল। সেটি ভুলক্রমে ফলাফল লেখা ছিল নেগেটিভ। ওই নেগেটিভ রিপোর্ট আমাদের কম্পিউটার থেকে তৈরি করা হয়। আমাদের একজন অফিসার সেটি স্বাক্ষর করেন এবং ইমেইলে পাঠানো হয়।
এদিকে, ২৭ জুলাই সোমবার দুপুরে নিজের কোভিড টেস্টের রিপোর্ট সম্পর্কে অভিযোগ দায়ের করেছেন সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের মেয়ে ঐশী খান। দুপুর ১২টার দিকে শাজাহান খান ও ঐশী খান স্বাস্থ্য অধিদফতরে উপস্থিত হয়ে মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের কাছে তাদের অভিযোগের চিঠি জমা দেয়।
এর আগে, রবিবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে লন্ডন যেতে বিমানবন্দরে যান ঐশী খান। ইমিগ্রেশন পুলিশকে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট দেখান তিনি। কিন্তু ইমিগ্রেশন পুলিশ অনলাইনে তার রিপোর্ট পরীক্ষা করলে দেখা যায় তিনি করোনা পজেটিভ।
স্বাস্থ্য অধিদফতর অনুমোদিত কেন্দ্রে করোনা শাজাহান খানের মেয়ে করোনা পরীক্ষা করেছিলেন বলে জানান তিনি। ভুল রিপোর্টের কারণে পরিবারসহ অনেকেই স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে পড়েছেন বলে দাবি শাজাহান খানের।