সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন মাঠে আগাম জাতের রোপা আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এবার ধানের ভাল ফলন হয়েছে। বাজারে নতুন ধানের ভাল দাম থাকায় খুশি কৃষকরা। সিরাজগঞ্জ সদরসহ বিভিন্ন উপজেলায় প্রতবছর বিপুল পরিমাণ জমিতে আগাম জাতের রোপা আমন ধানের চাষাবাদ হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কৃষি বিভাগের পরার্মশ ও সহায়তায় কৃষকরা জমিতে এই ধান চাষাবাদ করেন। বৃষ্টি আর আবহওয়া অনুকূল থাকায় এ চাষাবাদে খরচ কম হয়। হরেক রকম চিকন জাতের এই ধানের চালের বাজারে উচ্চমূল্য থাকায় বিক্রি করে ভাল লাভবান হয় জেলার কৃষকরা। ফলে জেলা জুড়ে ক্রমেই রোপা আমন ধান চাষাবাদের পরিধি বাড়ছে। আগাম জাতের এই ধান কেটে আবার একই জমিতে রবি সরিষার চাষাবাদ করা যায়। যার কারণে একই জমিতে একাধিক ফসলের চাষাবাদ করে কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারেন। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় ৭৫ হাজার ৮০৫ হেক্টর জমিতে রোপা ধান চাষাবাদ হয়েছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন মাঠের আগে লাগানো ধান কাটা শুরু হয়েছে। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ধীতপুর এলাকার মাঠে গিয়ে দেখা যায়, কৃষকরা আগাম ধান কাটছেন। কৃষক শাহাদত হোসেন জানান, প্রায় আড়াই বিঘা জমিতে তিনি ব্রি ধান-৭৫ লাগিয়েছিলেন। ইতোমধ্যে দেড় বিঘা জমির ধান কেটে ঘরে তুলেছেন। এবার বিঘা প্রতি ২০ মণ হারে ধানের ফলন পেয়েছেন তিনি। এই ধান চাষাবাদে তার বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে ৬/৭ থেকে হাজার টাকা। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আনোয়ার সাদাত জানান, কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে আমরা কৃষকদের রোপা আমন ধান চাষাবাদে সব রকমের সহযোগিতা ও পরার্মশ দিয়েছি। চাষাবাদের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা প্রতিটি ব্লকে কৃষকদের পাশে থেকেছেন। আগাম এই রোপা আমন বাজারে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে বড় ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি ভাল দামে কৃষকরা লাভবান হবেন।