জননিরাপত্তা বিভাগের একান্ত সচিব এ কে এম সাইফুল ইসলাম, পরিচিতি পরিচিতি নং ১৭১৮৭ ( সিনিয়র সহকারী সচিব) বাংলাদেশ সচিবালয় ঢাকায় কর্মরত । সাবেক জন নিরাপত্তা বিভাগের সচিব জাহাঙ্গীর আলম কুমিল্লার জেলা প্রশাসক থাকাকালীন সময়ে এ কে এম সাইফুল আলম সহকারী কমিশনার ভূমি,বরুড়ার দায়িত্ব পালন করেন। তখন থেকেই জাহাঙ্গীর আলমের সহযোগী হিসাবে অনিয়মের জড়িয়ে পরেন। সহকারী কমিশনার থাকাকালীন সময়ে বিশাল অর্থ সম্পদের মালিক বনে যান। পরবর্তী সময়ে লাকসামের উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসাবে পদায়ন হওয়ার পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলামের ছত্রছায়া আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে। সাইফল ইসলাম স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর শ্যালক মহব্বত এবং এ পি এস কামালের নেতৃত্বে অনিয়মের সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও মহিলা সদস্য সকল পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা নির্বাচন করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা নির্বাচিত প্রার্থীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। কথিত আছে কোন জামাত-বিএনপি নেতাকর্মী বাড়িতে থাকতে হলেও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ও ওসিকে মাসোহারা দিয়ে থাকতে হতো। তা না হলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা অথবা নির্যাতন করা হতো। কথিত আছে লাকসাম পৌরসভার মেয়র বিএনপির নেতাকে গুম করার ক্ষেত্রে সাইফুল ইসলামের হাত রয়েছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী আস্থাবাজন হওয়ায় সিনিয়র সহকারী সচিব হিসাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে পদায়ন হয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়েও সিন্ডিকেট তৈরি করে হাতিয়ে নেয় কোটি কোটি টাকা। পরবর্তীতে জাহাঙ্গীর আলম নির্বাচন কমিশনের সচিব পদায়ন হওয়ার পর, সচিব একান্তর সচিব হিসাবে পদায়ন পান। ২০২৪ সালের প্রহসনমূলক নির্বাচনে জেলা প্রশাসকগন রিটার্নিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। নির্বাচনে বরাদ্দের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকদেরকে চাহিদার তুলনায় তিন গুন বরাদ্দ প্রদান করেন। এবং জাহাঙ্গীর আলমের নির্দেশে জেলা প্রশাসকের সাথে যোগাযোগ করে ফিফটি পার্সেন্ট টাকা তার মাধ্যমে গ্রহণ করেন এবং আত্মসাৎ করেন। সমগ্র বাংলাদেশে উপজেলা, পৌরসভা, ইউপি নির্বাচনের প্রার্থীদের কাছ থেকে শত শত কোটি টাকা নিয়ে ফলাফল ফলাফল পরিবর্তনের সাইফুল জড়িত ছিল । গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাহাঙ্গীর আলমের নির্দেশে মনোনয়নপত্র বাতিলকৃত প্রার্থীদের কাছ থেকে মনোনয়নপত্র বৈধতা দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনী মালামাল ক্রয়ের ক্ষেত্রেও দুর্নীতি আশ্রয় নেয়া হয়েছে। এবং কোটি টাকা ঘুষের বিনিময়ে পছন্দের ঠিকাদারকে মালামাল সরবরাহ করার জন্য ওয়ার্ক অর্ডার দিয়েছেন । নির্বাচন কমিশনের বিভিন্ন জেলা উপজেলা কর্মকর্তাদের মোটা অংকের টাকা বদলি করা হতো। কেহ টাকা না দিলে অপসারণসহ তাদের বিরুদ্ধে ডিপি করা হতো। ডিপি করা কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ৫ /৭ লক্ষ টাকা দিলে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হতো। দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেছেন সচেতন মহল।