আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে চলতি বিশ্বকাপে প্রথম জয় তুলে নিল কানাডা। এবারই প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে দলটি। প্রথম আসরেই ইতিহাস গড়লো তারা। নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে লো স্কোরিং ম্যাচে আইরিশদের ১২ রানে হারিয়েছে কানাডা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটিই তাদের প্রথম জয়।
শুক্রবার (০৭ জুন) নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে রান তোলার সঙ্গে উইকেটও হারাতে থাকে কানাডা। দলীয় ১২ রানে আউট হন নবনীত ধালিওয়াল (১০ বলে ৬)। ম্যাচ ধরার চেষ্টা করেও বেশিদূর এগোতে পারেননি অ্যারন জনসন (১৩ বলে ১৪) ও পারগত সিং (১৪ বলে ১৮)।
৭ রানে ফেরত যান দিলপ্রীত বাজওয়া। ৫৩ রানে কানাডার ছিল না ৪ উইকেট। এরপরই দলকে মান বাঁচানো একটি পুঁজি এনে দিতে ৬৩ বলে ৭৫ রানের জুটি করেন নিকোলাস কিরটন ও শ্রেয়াস মোভা। তবে এদিন ফিফটি করতে না পারার আক্ষেপ নিয়ে ফিরতে হয় কিরটনকে। মাত্র ১ রানের জন্য হাফসেঞ্চরি করতে পারেননি তিনি। ৩৫ বলে ৪৯ রানে আউট হন তিনি। কিছুটা দেখেশুনে খেলে ৩৬ বলে ৩৭ রান করেন মোভা।
কানাডার পুঁজি আরেকটু বড় হতে পারতো, যদি ১৯তম ওভারে দুই উইকেট না হারাতো। ওই ওভারে সেট হওয়া দুই ব্যাটার আউট হন। রান হয় মাত্র ২। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৫ রান করতে সক্ষম হয় আয়ারল্যান্ড। ডকরেল ২৩ বলে ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন। কানাডার পক্ষে জেরেমি গরডন ও ডিলন হেইলাইজার নেন ২টি করে উইকেট।
লক্ষ্য তাড়ায় ব্যাট করতে নেমে দেখেশুনে খেলতে থাকেন দুই আইরিশ ওপেনার অ্যান্ড্রু বালবির্নি ও পল স্টার্লিং। দুজনে মিলে ওপেনিং জুটিতে স্কোরবোর্ডে জমা করেন ২৬ রান। ১৭ বলে ৯ রান করা পল স্টার্লিং জেরেমি গর্ডনের বলে শ্রেয়াস মোভার হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। স্কোরবোর্ডে আর ৬ রান যোগ হতেই দ্বিতীয় উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড।
অ্যান্ড্রু বালবির্নিকে আউট করেন জুনায়েদ সিদ্দিকী। ১৯ বলে ১৭ রান করেন এই ব্যাটার। হ্যারি টেক্টর আউট হন ৫ বলে ৭ রান করে। সাদ বিন জাফরের বলে বোল্ড আউট হন এই ব্যাটার। ১৫ বলে ১০ রান করা লরকান টুকার কাটা পড়েন রানআউটে। কার্টিস ক্যাম্ফারও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট আসে ৭ বলে ৪ রান। ৭ বলে ৩ রান করে আউট হন গ্যারেথ ডেলানি।
এরপর মার্ক অ্যাডায়ারকে নিয়ে এগোতে থাকেন জর্জ ডকরেল। শেষ ওভারে মার্ক অ্যাডায়ারকে জেরেমি গরডন। ফেরার আগে ২৪ বলে ৩৪ রান করেন এই ব্যাটার। কানাডার হয়ে ডিলন হেইলিগার জেরেমি গরডন দুটি করে উইকেট নেন। জুনায়েদ সিদ্দিকী ও সাদ বিন জাফর ১ টি করে উইকেট নেন।