আজ দৈনিক নবচেতনার ছিল ৩৩তম প্রতিষ্টাবার্ষিকী। ৩৩টি বছরের পথ পরিক্রমায় বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা উপজেলায় আমাদের সুপ্রিয় প্রতিনিধি ও আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষী শুভানুধ্যায়ী সবাইকে জানাচ্ছি ভালোবাসা এবং আন্তরিক অভিনন্দন ।সংবাদপত্র ও সাংবাদিকরা জাতির জাগ্রত বিবেক এবং পাঠকরাই হচ্ছে সংবাদপত্রের প্রাণশক্তি । অগুনতি প্রিয় পাঠকদের প্রতিও রইলো অফুরান শুভেচ্ছা। আধুনিক বিশ্বে সংবাদপত্র ছাড়া মানবসভ্যতা অচল। সমাজ-রাষ্ট্রের উন্নয়ন, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা এবং ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে সংবাদপত্রের গুরুত্ব অপরিসীম।বিখ্যাত সাংবাদিক জে এ ব্রাডস সংবাদপত্রকে মানব ইতিহাস ও সভ্যতার এক অপরিহার্য নিয়ামক হিসেবে চিত্রিত করেছেন। তার দৃষ্টিতে সংবাদপত্রহীন মানবজীবন অন্ধকারাচ্ছন্ন-বিভীষিকাময়। বিগত ৩৩ টি বছর আমাদের নিরলস প্রচেষ্টা ছিলো কারো পক্ষপাত নয় কারো বিরুদ্ধবাদিতায় নয় কারো এজেন্ডা বাস্তবায়নও নয় যা সত্য আমরা তা প্রচারে ছিলাম নির্ভিক। সাংবাদিকরা জাতির বিবেক। তারা জাতিকে দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকেন। প্রকৃত সাংবাদিক হিসেবে তার সংবাদসহ যাবতীয় লেখনী অন্যায় প্রতিষ্ঠায় সহযোগী হতে পারে না। কোনো ঘটনার সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ চিত্র, সত্য খবর সঠিকভাবে জাতির সামনে উপস্থাপন করাই সাংবাদিকদের নৈতিক দায়িত্ব। তিলকে তাল, তালকে তিল, সাদাকে কালো, কালোকে সাদা বানাতে কখনোই অনুশীলন করিনি , প্রকৃত সাংবাদিকদের নৈতিক দায়িত্ব হলো সব ক্ষেত্রেই নিরপেক্ষ থাকা। আদর্শচ্যুত এবং হলুদ সাংবাদিকতা জাতিকে বিভ্রান্ত করে। সমাজে অনৈক্য, হিংসা-বিদ্বেষ ছড়ায়। একটি জাতির আশা-আকাক্সক্ষা সঠিকপথে পরিচালিত করতে সাংবাদিকদের ভূমিকা অপরিসীম। সংবাদপত্র নিশ্চিতভাবে সমাজের অতন্দ্র প্রহরী এই অতন্দ্র প্রহরীর পাহারায় কিন্তু সর্বদা নিয়োজিত পাঠক, ফেলে আসা ৩৩ টি বছর আমরা কতটা দেশ সমাজ মানুষের প্রতি দায়িত্ব পালন করতে পেরেছি সেটার মুল্যায়ন করবেন পাঠক মহল । আমরা সেই বিচারের ভার পাঠকের ওপর ই ছেড়ে দিতে চাই। দৈনিক নবচেতনা গত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে বানিজ্যের চেয়ে পাঠকের আস্থা অর্জনে সদা সচেষ্ট ছিলো। আমরা আগামী দিনগুলোতে পাঠকদের আস্থা অর্জনে অঙ্গীকারবদ্ধ। আধুনিককালে এসে টেলিভিশন, রেডিও, ম্যাগাজিন এবং ইন্টারনেট সহ বিভিন্ন উৎস থেকে মানুষ আজকাল তাদের খবর পায়। যাইহোক, সংবাদপত্রগুলি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসাবে রয়ে গেছে যার মাধ্যমে সারা দেশে সব বয়সের মানুষের কাছে খবর পৌঁছে দেওয়া হয়।পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিদিন একটি কাগজ পড়ে থাকেন । ধরে নেওয়া হয়েছিলো অনলাইন অফলাইনের ব্যাপক চাহিদা কমিয়ে দেবে। হাতে হাতে ইন্টারনেট এতো সহজলভ্যতার পরেও প্রিন্ট মিডিয়ার কদর মোটেই কমেনি। তবে আধুনিক কালে এসে সংবাদপত্রের গঠনশৈলীতে নানা বৈচিত্র্য ও পরিবর্তন এসেছে। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই দৈনিক, সাপ্তাহিক, অর্ধ-সাপ্তাহিক, পাক্ষিক, মাসিক, ত্রৈমাসিক, ষাম্মাসিক ও বার্ষিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়। এসব পত্রিকায় রাজনীতি-অর্থনীতি, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, ব্যবসা-বাণিজ্য, সাহিত্য-সংস্কৃতি, বিনোদন-খেলাধুলা প্রভৃতি বিষয়ে নানা খবরাখবর প্রদান ও আলোচনা-সমালোচনা, পর্যালোচনা-পরিকল্পনা প্রকাশিত হয়।বাংলাদেশের মতো একটি ছোট পরিসরে সর্বশেষ ৩১শে ডিসেম্বর ২০২০ তারিখের হিসেব অনুযায়ী, নিবন্ধিত পত্র-পত্রিকার সংখ্যা ৩২১০ টি (অনলাইন গণমাধ্যম ব্যতীত) যার মধ্যে ১৩৫৭ টি ঢাকা থেকে এবং ১৮৫৩ টি অন্যান্য জেলা থেকে প্রকাশিত হয়। এর মধ্যে দৈনিক পত্রিকা ১৩০৯ টি, অর্ধ-সাপ্তাহিক ৩ টি, সাপ্তাহিক ১২১৪ টি, পাক্ষিক ২১৬ টি, মাসিক ৪২৫ টি, দ্বি-মাসিক ৮ টি, ত্রৈ-মাসিক ৩০ টি, চর্তুমাসিক ১ টি, ষান্মাসিক ২ টি এবং বার্ষিক পত্রিকা রয়েছে ২ টি। অনিবন্ধিত পত্রিকার সংখ্যা নিবন্ধিত সংখ্যার চেয়ে কম নয়। শত শত দৈনিকের পত্রিকার ভীড়ে নতুন যুগের দৈনিক নবচেতনা স্বকীয়তা বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। আর্থার মিলারের সংবাদপত্র সম্পর্কে বক্তব্যনুযায়ী অ মড়ড়ফ হবংিঢ়ধঢ়বৎ, ও ংঁঢ়ঢ়ড়ংব, রং ধ হধঃরড়হ ঃধষশরহম ঃড় রঃংবষভ’ হ্যাঁ আমরা সূচনালগ্ন থেকেই জনতার কাছাকাছি যাবার চেষ্টা করেছি এবং দেশ জনতার কথাই বলছি। আমাদের অব্যাহত কঠিন যাত্রা পথে তথ্যমন্ত্রনালয়ের সার্বিক সহযোগীতা, পাঠক শুভাকাঙ্ক্ষী শুভানুধ্যায়ী প্রতিনিধিসহ যেসকল প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন আয়োজনে বিজ্ঞাপন সহ নানাভাবে সহযোগীতা করেছেন আগামীদিনগুলোতে আপনাদের সহযোগীতা অব্যাহত রাখতে এবং সবাইকে পাশে থাকার প্রত্যাশা করি।গত ৪:বছরের কম সময় আমি দৈনিক নবচেতনা পরিবারের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পেরে গর্বিত। পরিবারটির প্রধান প্রিয় সম্পাদক প্রকাশক শাখাওয়াত হোসেন। তিনি আমার দেখা এবং জানার মধ্যে একজন অসাধারণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী বন্ধুবৎসল অভিভাবক। আধুনিক রুচিবোধ সম্পন্ন পরিশীলিত উজ্জ্বল পারিবারিক পরিচয় তাঁকে সমুজ্জ্বল করেছে সবক্ষেত্রেই। গত চারটি বছর প্রিয় শাখাওয়াত প্রিয় বন্ধু প্রিয় ভাই সম্বোধনে ডেকেছি তাঁকে, সংবাদ সংক্রান্ত , লেনদেন, কোনো প্রতিশ্রুতির ব্যত্যয় হতে দেখিনি। আমি অনেক সম্পাদক এবং প্রকাশকের সঙ্গে কাজ করেছি কিন্তু সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন সাহেবের মতো একজন ব্যক্তিত্ববান সম্পাদকের মতো করে আর কাউকে পাইনি। সুপ্রিয় পাঠক শুভাকাঙ্ক্ষী শুভানুধ্যায়ী, এবং সিলেট সহ বাংলাদেশের বিজ্ঞাপন রিলেটেড সকল কর্মকর্তা কর্মচারী সবার দৈনিক নবচেতনার পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা।নব উদ্যমে কাজ করতে চাই নতুন আলোয় আপনাদের সহযোগীতায় দৈনিক নবচেতনার প্রতিষ্টা বার্ষিকীর আনন্দ আয়োজনে সবাইকে আমন্ত্রণ এবং সর্বদা সু-স্বাগতম।