ময়মনসিংহের কৃতি সন্তান ড. মেজবাহ উদ্দিন তুহিন কাজ করেছেন ইতিহাস ঐতিহ্য, ভ্রমণ ,লোকশিল্প , চারপাশের প্রকৃতি ও পরিবেশ নিয়ে। ভারত- বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকার গাড়ো: নৃগোষ্ঠীর জীবন বৈচিত্র্য নিয়ে দীর্ঘ সময় কাজ করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন এবং প্রশংসিত হয়েছেন। বিশেষ করে তিঁনি লেখক, গবেষক ও কলামিস্ট হিসাবে দেশব্যাপী পরিচিতি লাভ করেছেন। দীর্ঘ সময় ধরে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় বিভিন্ন বিষয়ে ফিচার,প্রবন্ধ ও কলাম লিখে সুধীজনের নজর কেড়েছেন। লন্ডন ,সুইডেন ও জাপানের বাংলা পত্রিকায় তার বেশ কিছু লেখা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও তিঁনি টিভি এবং রেডিওতে নিয়মিত অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্ক্রিপ্ট লিখে থাকেন এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে থাকেন। জীবনকে তিঁনি গভীর মমতা, বিশ্বাস ও ভাবনায় অবলোকন করেন। উনার লেখায় প্রকাশ পায় সাধারণ মানুষের সুখ- দুখের সন্ধান, যা ইতিমধ্যে পাঠকের হৃদয় কেড়েছে। গ্রামে বড় হওয়ার কারণে গ্রামীণ বৈচিত্র্য নিয়ে লেখালেখিতে উনার বিশেষ দক্ষতা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে লেখালেখিতে চর্চার সুযোগ পান। পরবর্তীতে কর্মজীবনেও চর্চা চালিয়ে যাচ্ছেন নিয়মিত। নিজের দৃষ্টিতে মানুষ ও জগতকে নিয়ে যা দেখেন তা লেখায় তুলে ধরেন। গ্রাম ও প্রাকৃতির সাথে তার নারীর টান সুমধুর। যখনই সুযোগ হয় তখনই ছুটে গিয়েছেন বাংলার বিভিন্ন জনপদে। সেখান থেকে তিঁনি তার লেখনীর মাধ্যমে প্রাকৃতিক পরিবেশ, ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে এনে মানসিক ভাবনায় লেখার মাধ্যমে রূপ দিয়েছেন আলোড়ন সৃষ্টিকারী প্রবন্ধ । যেগুলো ইতিমধ্যে দেশের জাতীয় পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। জাতির সামনে উন্মোচিত হয়েছে ওনার লেখনীর কৃতিত্ব। বিভিন্ন প্রকাশনী সংস্থা ওনার বই প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য, ফিরে দেখা, ঐতিহ্যের কাছে , বর্ণিল বাংলাদেশ ,বাংলার লোক শিল্প ও লোক ঐতিহ্য, ভালবাসার নীল বেদনা, গারো: সুসং দুর্গাপুরের নকনা-নক্রম জনগোষ্ঠী ও বাংলাদেশের পুরাকীর্তি ও দর্শনীয় স্থাপনা।
তাঁর সুযোগ এসেছে কৈশোর ও যৌবনে বাংলাদেশ, ভারত ,নেপাল, ভুটান, মায়ানমার, পাকিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখার।
তিঁনি ছাত্র জীবনে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা অবস্থায় দৈনিক খবর ও দৈনিক বাংলার” জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করেছিলেন। ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার রঘুনাথপুর (রৌয়ারচর) গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে তাঁর জন্ম। বাবা জালাল উদ্দিন সরকার ও মা ছখিরন নেছার কনিষ্ঠ সন্তান মেজবাহ উদ্দিন তুহিন।
তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ থেকে অনার্স ,এম.এসসি এবং পিএইচ.ডি ডিগ্রি লাভ করেন।
এই গুনী লেখক মাদারীপুরের শিবচরে “নুরুল আমিন কলেজে” কিছুদিন অধ্যাপনা করেছিলেন। বাংলা একাডেমি ,এশিয়াটিক সোসাইটি ও বাংলাদেশ বিজ্ঞান উন্নয়ন সমিতিসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সাথে জড়িত আছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন।