রায়গঞ্জের পাঙ্গাসী ইউনিয়নের কৃষ্ণদিয়া গ্রামে উন্নত মানের মরিচ চাষের লক্ষ্যে বিজ্ঞান নির্ভর মালচিং পদ্ধতিতে মরিচ চাষ করছেন কৃষক। মাটির আর্দ্রতা রক্ষা করে বিষমুক্ত সবজি চাষের একটি বিজ্ঞানভিত্তিক আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি পলিথিন মালচিং পদ্ধতি। সবজি জাতীয় ফসলের জমিতে শুকনো বা কাঁচা পাতা, বিচালি, কচুরিপানা বিছিয়ে পলিথিন দিয়ে ঢেকে বা মালচ করে চাষাবাদ করা হয়। উন্নত মানের ভালো ফলন পাওয়ার আশায় এই চাষ শুরু করেছেন। কৃষি অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, এ পদ্ধতিতে চাষ করলে ২৫ শতাংশ সেচ কম লাগে। এতে সারের ব্যবহার অত্যন্ত কম। এ পদ্ধতির ফসলে পোকামাকড় হয়না বললেই চলে, ফসলে আগাছা হয় না, ভাইরাস আক্রমণ করে না। বিষমুক্ত উচ্চমূল্যের ফসলের জন্য খুব উপযোগী এ মালচিং পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে উৎপাদনও অনেক বেশি হয়, কৃষক লাভবান হয়। কৃষক আব্দুল খালেক জানান, তার ৬০ শতক জমিতে প্রয়োজনীয় উপাদান বিছিয়ে উপরে সিলভার রঙ এর বিশেষ পলিথিন বিছিয়ে দিয়ে তৈরি করা হয়েছে মরিচের বেড। ওইসব বেডে নির্দিষ্ট দূরত্বে পলিথিন ফুটো করে রোপন করা হয়েছে মরিচের চারা। বেড়ে ওঠা মরিচের চারাগুলোকেও বেশ সতেজ ও প্রাণবন্ত দেখা গেছে। তিনি আরও জানান, প্রথমে ৩০ শতক জমিতে আবাদ শুরু করেন। পরবর্তীতে ফলন ভালো হওয়ায় আরও ৩০ শতক জমিতে চাষ বাড়িয়েছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, পরিবেশবান্ধব আধুনিক পলিথিন মালচিং পদ্ধতিতে চাষাবাদে কৃষকের খরচ খুব কম হয়। এ পদ্ধতির ফসল হয় বিষমুক্ত, ক্ষতিকর পোকামাকড় আক্রমণ করে না। এই পদ্ধতির ফসল উৎপাদনও হয় অনেক বেশি। ফলন দেখে কৃষকরা আশাবাদী ও উৎসাহী হচ্ছেন। আশা করা যায় আগামী দিনে এ প্রযুক্তির চাষাবাদ বাড়বে, পাশাপাশি বাড়বে ফসলের উৎপাদন।