সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন দিয়ে বানানো শরবত খেয়ে জিমহা নামে তিন বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে এবং পরিবারের চারজন অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সকলকেই বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বেলকুচি উপজেলার বৈলগাছি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত জিমহা খাতুন বেলকুচি উপজেলার বৈলগাছি গ্রামের কাইয়ুম উদ্দিনের মেয়ে। অসুস্থরা হলেন, কাইয়ুম উদ্দিনের স্ত্রী পারভীন খাতুন, তাদের মেয়ে রিয়া, নুরি ও কাইয়ুম উদ্দিনের ভাতিজি মিথিলা। এ ঘটনায় পুলিশ দোকানদার আমিনুল ইসলাম, সেলসম্যান আনিসুর রহমান, হাবিব সেখ ও সাগর হোসেন নামে চার জনকে আটক করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা জামিল উদ্দিন জানান, কাইয়ুমের পরিবারের সকলেই রোজা ছিলেন। ইফতারের আগে আমিনুল ইসলামের দোকান থেকে স্যালাইন কিনে আনেন। সন্ধ্যায় ইফতারের সময় স্যালাইন দিয়ে বানানো শরবত সকলেই পান করেন। শরবত খাওয়ার পর পারভীন খাতুন, জিমহা, রিয়া, নুরি ও ভাতিজি মিথিলা সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাদের বেলকুচির স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে চিকিৎসক সিরাজগঞ্জে রেফার্ড করেন। সেখানে নেওয়ার পর জিমহা মারা যায়।
সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. ফয়সাল হোসেন বলেন, সন্ধ্যার পর পাঁচজন রোগী হাসপাতালে আসেন। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী খাবার স্যালাইন খেয়েই তারা অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। তাদের মধ্যে জিমহা নামের শিশুটি মারা যায়। বাকি চারজন হাসপাতালে ভর্তির পর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত আনিসুর রহমান, ঘটনা অবহিত হওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে দোকানদার ও সেলসম্যানসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। এঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে।