সিরাজগঞ্জের চৌহালীর চরাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি যমুনা নদীর বাম তীর রক্ষা বাঁধ। অবশেষে চরাঞ্চলবাসীর পূরণ হতে যাচ্ছে দীর্ঘদিনের আশা। ৩.৫ কিলোমিটার এলাকায় করা হচ্ছে স্থায়ী বেড়িবাঁধ। বাঁধ নির্মাণ কাজ চলছে। ইতিপূর্বে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ও শরীয়তপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য এ.কে.এম এনামুল হক শামীম প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। গত কয়েক বছর ধরেই বেড়ি বাঁধ না থাকায় চৌহালীর চরাঞ্চলের খাষপুকুরিয়া, বাঘুটিয়া, ভূতের মোড় এলাকায় ভাঙনের শিকার হচ্ছেন হাজারো মানুষ। গত ২০ বছরে এসব এলাকার ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার যমুনার ভাঙনে বিলীন হয়েছে। স্থানীয়রা ফসলের জমি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ হারিয়েছে শত শত বসতভিটা। এসব এলাকা নদী ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পেতে ৪৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকা ব্যয়ে তৈরি হচ্ছে ৩.৫ (তিন হাজার পাঁচশত) কিলোমিটার স্থায়ী বেড়ি বাঁধ। এর ফলে শিক্ষা ব্যবস্থাসহ আর্থসামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলছেন স্থানীয়রা। বেড়ি বাঁধ পেয়ে খুশি যমুনা পাড়ের মানুষ। সিরাজগঞ্জের পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা গেছে, ‘টেন্ডার শেষে কাজ শুরু হয়েছে, জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের কাজ চলমান রয়েছে, আশা করছি নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হবে। এদিকে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ও শরীয়তপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য এ.কে.এম এনামুল হক শামীম নদী তীর সুরক্ষার পরিকল্পনা কথা জানিয়ে ছিলন উদ্বোধনকালে আ’লীগের এক আলোচনা সভায়। এ কাজের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কাজের গুণগত মান ঠিক রেখে নির্ধারিত সময়ের এক বছর আগেই বাঁধের কাজ শেষ হবে। এদিকে চলমান কোটি টাকার বেড়ি বাঁধের কাজ দেখতে যান পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তৃপক্ষগণ। বিগত সময়ে যমুনার ভাঙনে উপজেলার অধিকাংশ এলাকা বিলুপ্ত হওয়ায় নতুন করে খাসকাউলিয়া ইউনিয়নে চৌহালী উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। সেখানে সরকারি নানা স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। ভাঙন কবলিত এ উপজেলার অবশিষ্ট অংশ রক্ষায় নদীর বাম তীরে ৪৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকা ব্যয়ে তীর রক্ষা প্রকল্প গ্রহণ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এ কাজে সহকারি ঠিকাদার রফিকুল ইসলাম জানান, শাহজাদপুর উপজেলা থেকে বালু কেটে বেঁড়ি বাধের কাজ করা হচ্ছে।