সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে ফাতেমা খাতুন (৮৫) নামে মাকে হত্যার দায়ে ছেলে ও পুত্রবধূর মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক কানিজ ফাতিমা এ দণ্ডাদেশ দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলো- কাজিপুর উপজেলার রেহাইশুরিবেড় গ্রামের মৃত মকছেদ আলী মন্ডলের ছেলে আব্দুস সামাদ (৬৫) ও আব্দুস সামাদের স্ত্রী মোছা. রশিদা খাতুন (৬০)। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মামলার নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৬ সালের ১ নভেম্বর সকালে রেহাইশুড়িবেড় গ্রামের আব্দুস সামাদের বাড়ি থেকে ফাতেমা খাতুনের গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ভিকটিমের ছেলে আব্দুর রহিম বাদী হয়ে অজ্ঞানামা আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশ সন্দেহজনকভাবে সামাদের ছেলে বউ রুনাকে আটক করলে সে ঘটনার বিবরন দেয়। তার জবানবন্দীর ভিত্তিতে আব্দুস সামাদ ও তার মা ফাতেমাকে গ্রেফতার করে আদালমের মাধ্যমে রিমান্ড নেন। রিমান্ডে দুজনই হত্যার সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দীতে উল্লেখ করেন, আব্দুস সামাদ ও ছেলের বউ রশিদা খাতুন সংসারের দ্বন্ধ ও মাকে বোঝা মনে করে ফাতেমাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনার মোতাবেক ৩১ অক্টোবর গভীর রাত সাড়ে তিনটার দিকে রশিদার পরামর্শে সামাদ তার মা ফাতেমাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে পাশের একটি ঘরে নিয়ে জোর করে শুয়ে দেয় এবং মুখ কাপড় দিয়ে রাখে। পরে ছেলে সামাদ পা ধরে রাখে এবং রশিদা বটি দা দিয়ে গলা কেটে তাকে হত্যা করেন। নিহতের গোঙানির শব্দে তার নাতি বউ রুনা খাতুন জেগে উঠে তার গলাকাটা মৃতদেহ দেখতে পায়। তখন রশিদা ও সামাদ তাকে বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দেয়। পরে পুলিশ দুজনের বিরুদ্ধে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। আদালত স্বাক্ষী ও শুনানি শেষে এ দণ্ডাদেশ দেন।