কাগজে-কলমে শীত শেষ হয়ে গেলেও ফিরে যায়নি পরিযায়ী পাখি। এসব পাখির কলকাকলিতে এখনো মুখর সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন নদ-নদী। বিশেষ করে উল্লাপাড়া উপজেলায় বিলসূর্য নদ ও তাড়াশ উপজেলার করতোয়া নদীতে এবার প্রচুর পরিযায়ী পাখির আগমন ঘটেছে। এসব পাখি দেখতে নিয়মিত নদ-নদীর পাড়ে ভিড় জমাচ্ছে দর্শনার্থীরা। সম্প্রতি তাড়াশ উপজেলার নওগাঁয় পরিবার নিয়ে করতোয়া নদীর পরিযায়ী পাখি দেখতে এসেছিলেন রায়গঞ্জ উপজেলার ধানঘড়ার আব্দুল মোতালেব। তিনি বলেন, বিদেশী নানা প্রজাতির পাখির কলকাকলিতে এ এলাকা এখনো মুখরিত। একটা বিশেষ সময়ে এসব পাখি এখানে আসে। তাই সন্তানদের দেখাতে নিয়ে এসেছি। ভাগ্য ভালো যে শীত শেষ হয়ে গেলেও এখনো এসব পাখি ফিরে যায়নি। উল্লাপাড়া উপজেলার কয়ড়ায় বেড়াতে আসা রবিউল ইসলাম বলেন, বিলসূর্য নদে প্রতি বছরই নানা প্রজাতির পরিযায়ী পাখি আসে। তবে নদে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় আগের মতো আর পাখি আসছে না। তাড়াশ কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মর্জিনা ইসলাম বলেন, পরিযায়ী পাখি শীতকালে আমাদের দেশে বেড়াতে আসে এটা প্রকৃতির সৌন্দর্য। এসব পাখির উপস্থিতিতে শীতে প্রকৃতি নতুন রূপ পায়। শীত শেষ হলেই এসব পাখি আবার চলে যায়। পরিযায়ী পাখির এখানে অবস্থান নিরাপদ করতে পারলে আরো বেশি বেশি পাখির আগমন ঘটবে। এতে আমরাও নানা প্রজাতির পাখি দেখার সুযোগ পাব। সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ বলেন, পাখি প্রকৃতির অলংকার। এর রক্ষার দায়িত্ব আমাদের। তাড়াশ ও উল্লাপাড়াসহ জেলার কয়েকটি স্থানে এবার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পরিযায়ী পাখির আগমন ঘটছে। বিষয়টি আমাদের নজরে আছে। এসব পাখির অবাধ বিচরণ ও নিরাপদ অবস্থানে যেন কেউ বিঘ্ন সৃষ্টি না করে, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এর পরও কেউ পাখি শিকারের চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।