আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিজের অপরাধ ঢাকতে এবং সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করতেই গণমাধ্যমের সামনে কারান্তরীণ হওয়ার আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ গণমাধ্যমে দেওয়া বক্তব্যে তার কারান্তরীণ হওয়ার আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন। মির্জা ফখরুল নিশ্চয়ই কোনো অপরাধ করেছেন, তা না হলে কারান্তরীণ হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করবেন কেন? নিজের অপরাধ ঢাকতে বা বিচার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত এবং সরকারের উপর চাপ প্রয়োগ করতে তিনি গণমাধ্যমের সামনে অমূলক এই বক্তব্য প্রদান করেছেন।’
ওবায়দুল কাদের আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নির্লজ্জ মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতেই এই বিবৃতি প্রদান করা হয়।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সরকার বিনা দোষে নিরপরাধ কাউকে আটক রাখে না বা আটক রাখার এখতিয়ারও সরকারের নেই। সরকার নির্দোষ কাউকে কোনো হয়রানি করছে না। দেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন। তাই অপরাধী যে-ই হোক তাকে আইনের আওতায় আসতে হবে। আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান। এখানে কারও সামাজিক বা রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচ্য নয়। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বর্তমান সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বিরোধীদল-মত দমন কিংবা কোনো ধরনের মামলা-হামলা দিয়ে হয়রানি করে না। সারাদেশে বিএনপি-জামায়াতের যেসব ক্যাডারবাহিনী আগুন দিয়ে শত শত নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করেছে, সন্ত্রাস সৃষ্টি করে দেশের মানুষকে জিম্মি করার অপচেষ্টা চালিয়েছে এবং ফৌজদারী অপরাধ সংঘটন করেছে; আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাসে নিহত অসহায় পরিবারের সদস্যদের এবং অগ্নিদগ্ধ যেসব মানুষ এখনও ভয়াবহ যন্ত্রণা ভোগ করছে তাদের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। আগুনসন্ত্রাসী মানবতাবিরোধী খুনিদের মামলার উদাহরণ টেনে মির্জা ফখরুল বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের মামলা দিয়ে হয়রানির তথাকথিত অভিযোগ উত্থাপন করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সম্পর্কে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অর্বাচীনের ন্যায় মিথ্যার ফুলঝুরি ছুটিয়েছেন। তিনি এ ধরনের অসত্য বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে জাতির সঙ্গে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের আগে ও পরে আওয়ামী লীগ সর্বদা জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছে এবং এদেশের গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। আওয়ামী লীগ এদেশের গণমানুষের প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক সংগঠন; বিএনপির মতো গণবিরোধী সামরিক শক্তির পৃষ্ঠপোষকতায় বেড়ে ওঠা বা সামরিক ছাউনিতে প্রতিষ্ঠিত কোনো রাজনৈতিক শক্তি নয়।