সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি সামান্য কমতে থাকায় তীব্র ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই ভাঙ্গন এলাকার অনেক বাড়িঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এ ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিৎ কুমার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, কয়েকদিন ধরে যমুনার পানি বাড়ছিল। এতে যমুনার তীরবর্তী চৌহালী, বেলকুচি, শাহজাদপুর, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চল বন্যা কবলিত হয়ে পড়ে। বিশেষ করে যমুনার পানি বৃদ্ধি ও কমার সময় চৌহালী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন শুরু হয়ে থাকে। এ উপজেলার খাষপুখুরিয়া থেকে বাঘুটিয়া ইউনিয়নের ভুতের মোড় এলাকার বিভিন্ন স্থানে তীব্র ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। বহু বাড়িঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পানিতে নিমজ্জিত হয় এবং রোপা আমনসহ ফসলের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এদিকে ২দিন ধরে যমুনার পানি কমতে থাকায় ভাঙ্গনের তীব্রতা বাড়ছে। ইতিমধ্যেই বিনানই, চরসলিমাবাদ এলাকার বসতভিটা ও ২ টি মসজিদসহ বিস্তীর্ণ ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এতে ওই ভাঙ্গন এলাকার হুমকির মুখে রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ, ২টি স্বাস্থ্য কেন্দ্র, বাজারসহ প্রায় ১৭ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অবশ্য পানি উন্নয়ন বোর্ড চৌহালীতে এ ভাঙ্গনরোধে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। চৌহালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুব হাসান ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসককে অবহিত করেছেন তিনি। এছাড়া জেলার শাহজাদপুর, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চলের অনেক স্থানে এই ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।