মাগুরায় স্কুল ছাত্রী মাইশা নামে এক কিশোরীকে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় দোষীদের বিচারের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে তার সহপাঠীসহ স্থানীয় এলাকাবাসী। সোমবার সকাল ১১টায় মাগুরা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এ সময় ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ এ ঘটনার এক মাস পেরিয়ে গেলেও অভিযুক্তদের আটক করেনি পুলিশ। হুমকি ধামকিসহ চাপ সৃষ্টি করে ভয় দেখানো অভিযুক্তদের পরিবার। সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে ভুক্তভোগী কিশোরী রুবাইয়া ইয়াসমিন মাইশার মা অভিযোগ করেন তার মেয়েকে পরিকল্পিত ভাবে তুলে নিয়ে ধর্ষন ও হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতরা স্থানীয় প্রভাবশালী হওয়ায় ঘটনার পর থেকে আসামিদের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দেয়া হচ্ছে। এ অবস্থায় পরিবারের নিরাপত্তা, আসামিদের গ্রেফতার ও উপযুক্ত বিচারের দাবিতে আজ সোমবার সকালে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে ভুক্তভোগী মাইসার সহপাঠী ও সচেতন মাগুরাবাসী। এ সময় মানববন্ধনে বক্তারা জানান, মাত্র ১৪ বছর বয়সের কিশোরী মাইশা মাগুরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী ছাত্রী। দির্ঘদিন ধরে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ২৮ জুলাই শুক্রবার মাগুরা কলেজপাড়া এলাকায় একটি পারিবারিক অনুষ্ঠান থেকে মাইসাকে তুলে নিয়ে তার মাথায় গুরুতর আঘাতসহ নানা রকম অত্যাচার করে করে তার বড় বোন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত মেকাপ আর্টিস্ট, বিউটিশিয়ান ঐশীর সহপাঠী মাগুরা সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ারদী কলেজের অনার্স এর ছাত্র ইব্রাহিম, রাফি,তালহা ও সাজ নামে ৪ যুবক। এ ঘটনার পর মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে মাইশাকে প্রথমে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রায় ১৫ দিন অজ্ঞান থাকার পর জ্ঞান ফিরে সেদিনের প্রকৃত ঘটনার বর্ননা দেয় মাইশা। গুরুতর আহত অবস্থায় এখনো ঢাকায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে সে। জানা গেছে, ঘটনার পর বিষয়টিকে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা হিসেবে চালিয়ে দিতে চেষ্টা চালায় ইব্রাহিম ও তার সঙ্গীরা। পরে মাইশার জ্ঞান ফিরে আসলে বিষয়টি জানতে পেরে এ বিষয়ে মাগুরা সদর থানায় মামলা করতে যান তার মা রেহানা পারভীন। কিন্তু সেখানে মামলা না নেয়ায় মাগুরা জেলা জজ কোর্টে নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে মামলা ইব্রাহিমসহ তার চার সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা করেন রেহানা। এর পর থেকে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলার জন্য বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে মাইশার পরিবারকে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে জানান তারা। এ ব্যাপারে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে শিশুটির পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন মাগুরার সচেতন সমাজ।