মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা সদর ইউনিয়ন পরিষদের ১৩টি মাসিক সভায় অনুপস্থিত ও একটি হত্যা মামলায় (প্রধান আসামী) প্রায় দেড় বছর ধরে পলাতক থাকা সেই ইউপি সদস্য সাবুল আহমদকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ। ১৬ আগস্ট মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমিন প্রধান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের বরাবর প্রেরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বড়লেখা সদর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য সাবুল আহমদ যুক্তিসঙ্গত কারণ ব্যতিরেখে ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে চলিত বছরের মে মাস পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদের ১৩টি মাসিক সভায় অনুপস্থিত ছিলেন। এছাড়া তার দ্বারা সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রম ইউনিয়ন পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থী বিবেচনায় তাকে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ৩৪(৪)(ক) ধারায় তার স্বীয় পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। জানা গেছে, ২০২২ সালের ৮ এপ্রিল কেছরীগুল জামে মসজিদের ইমাম নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার জেরে আসরের নামাজের পর সাবেক ইউপি মেম্বার শরফ উদ্দিন নবাব, তার ভাই ইউপি মেম্বার সাবুল আহমদ, আবু হোসেন, সাইফুল ইসলাম, দুলাল হোসেন, ইমন আহমদ, সালমান আহমদ প্রমুখ কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে রুবেল আহমদ নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেন। এই খুনের ঘটনায় নিহতের ছোটভাই ফয়ছল আহমদ ইউপি সদস্য সাবুল আহমদকে প্রধান আসামী করে ১৫ জনের নামে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার দিন থেকেই ইউপি সদস্য সাবুল আহমদ পলাতক রয়েছেন। ইউপি চেয়ারম্যান ছালেহ আহমদ জুয়েল জানান, প্রায় দেড় বছর ধরে ইউপি সদস্য সাবুল আহমদের অনুপস্থিতির কারণে নাগরিক সনদ প্রদানে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সঠিক কিনা, উত্তরাধিকার সনদে বর্ণিত সকল উত্তরাধিকারের তালিকা সঠিক কিনা তা সনাক্তকরণ, গ্রাম আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা এবং এলাকার উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড ব্যাহত হচ্ছে। এতে ওয়ার্ডের জনগণও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে তিনি ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর পত্র প্রেরণ করেছিলেন।