নীলফামারী ডিমলার ইউপি নির্বাচনের কাজে বাধা, পুলিশ ও বিজিবি উপর হামলা ও গাড়ি ভাংচুরের অভিযোগে ইউপি সদস্য পদপ্রার্থী ফেরদৌস মিয়াসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে জেলা কারাগারে সোপর্দ করেছে ডিমলা থানা পুলিশ।
এরআগে উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়োর্ডের ভোটকেন্দ্র দক্ষিণ খড়িবাড়ী পন্ডিতপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট গণনা শেষে প্রকাশিত ফলাফলে সন্তুষ্ট না হয়ে সদস্য প্রার্থী ফেরদৌস মিয়ার নেতৃত্বে বিজিবি ও পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে বিজিবির গাড়ি ভাংচুর করা হয়।
পরে নীলফামারী ব্যাটালিয়ানের (৫৬ বিজিবি) নায়েব সুবেদার নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) দুপুরে ডিমলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১৭। মামলায় ২১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, ফেরদৌস মিয়া (৪০), আব্দুল বারেক (৩৫), মো. তারেক (৩২), শফিয়ার রহমান (৬০), রহিদুল ইসলাম (৫৫), আ. করিম (৪৮), তাসিন (২৩), রবিউল ইসলাম (৩০), কামিনুর রহমান (৩৪), ফজল মিয়া রানা (৩৫), মোছা. নাছিমা বেগম (২৮), মোছা. রুবিনা বেগম (৪০), মোছা. পারভিন বেগম (৩৫), আ. করিম (৪৮), আবু হানিফ (৪২), মো. মাসুদুল ইসলাম (৩০), মো. ফরহাদ আলী (৩৫), মো. হাবিবুর রহমান হাবু (৩০), মো. আনিসুর রহমান (৩৩) ও মো. আবু জাহিদ (৩৮)।
ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লাইছুর রহমান জানান, ইউপি নির্বাচনী কাজে বাধা, নির্বাচনী ফলাফল পছন্দ না হওয়ায় দলবদ্ধ হয়ে পুলিশ ও বিজিবির উপরে আক্রমণ করা হয়, এতে পুলিশের তিনজনসহ বিজিবির ৫ জন আহত হন, একজনকে মুমূর্ষ অবস্থায় রংপুর মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।