পটুয়াখালীর দুমকীতে হালিমা আক্তার মিম নামের এক গৃহবধূকে হাত-পা বেঁধে শরীরে কেরাসিন ঢেলে আগুন দেয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৯ জুন) ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে তিনি মারা যান। তবে তার সাথে থাকা শিশু সন্তান এখনও একই স্থানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পটুয়াখালীর দুমকী থানা ওসি আবুল বাশার। তিনি জানান, মিমের মামা ওমর ফারুক বাদী হয়ে শুক্রবার সকালে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় মিমের শাশুড়ি পিয়ারা বেগমসহ অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে প্রধান আসামি পিয়ারা বেগমকে দুপুরে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত পুলিশ এ ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করতে পারেননি। তাদের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে বলেও ওসি জানান।প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (৮ জুন) বিকেলে বোরকা পরিহিত দুইজন অজ্ঞাতনামা লোক মিমের ঘরে ঢুকে আগুন দিয়ে বাহির থেকে ঘরের দরজা বন্ধ করে চলে যায়। এ সময় মিমের সাথে তার একটি শিশু সন্তান ছিল; সেও আগুনে দগ্ধ হয়। পরে মিমের ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা উদ্ধার করে দ্রুত তাদের বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।