হবিগঞ্জের মাধবপুরে দীর্ঘদিনের তীব্র খরায় আউশ চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে। পানি সংকটের কারনে কৃষকরা জমি প্রস্তুত করতে পারছে না। প্রায় এক মাস ধরে একটানা খরা থাকার কারনে জমিতে কোন পানি নেই। কৃষকের আউশের ধানের জমি শুকিয়ে গেছে। এ কারনে মাধবপুরে আউশ চাষাবাদ ব্যাহত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। তীব্র তাপদাহে বীজতলা ও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মাধবপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে গেছে, মাধবপুরে আউশ চাষাবাদের জন্য ৫৯০ হেক্টর বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। আউশ চাষাবাদের জন্য ১২২০০ হেক্টর জমি চাষাবাদ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। প্রতি হেক্টরে ৩ মেট্রিকটন আউশ ধান উৎপাদন হওয়ার কথা। এবছর বেশি পরিমানে আউশ উৎপাদনের লক্ষ্যে সরকার মাধবপুরে ৫ হাজার কৃষককে সার, বীজ প্রণোদনা দিয়েছে। কিন্তু আউশ উৎপাদন বৃষ্টির ওপর নির্ভরশীল। গত বৈশাখ মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে জ্যৈষ্ঠ মাসের এখন পর্যন্ত কোন বৃষ্টি হয়নি। এ কারনে কৃষকরা লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আউশ চাষাবাদ করতে পারছেনা। এখন পর্যন্ত সেচ ও নিচু জমিতে ৩৫ভাগ জমি চাষাবাদের আওতায় এসেছে। ধর্মঘর ইউনিয়নের কৃষক রফিক মিয়া জানান, ধানের ভাল দাম থাকায় আগের চেয়ে এখন কৃষকরা ধান চাষে বেশি আগ্রহী। কিš‘ এবছর দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষকের বীজতলা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি কৃষকরা সব জমিতে ধানের চারা রোপন করতে পারছেনা। শাহজাহানপুর ইউনিয়নের কৃষক ইন্দ্রজিৎ দেবনাথ জানান, আউশ চাষাবাদ বৃষ্টির ওপর নির্ভরশীল। এবছর অনেক কৃষক সেচ দিয়ে আউশ চাষাবাদ করছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন হাসান জানান, যেসব কৃষক খরার কারনে আউশ ধান রোপন করতে পারছেনা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে আগাম আমন ধান চাষাবাদের জন্য।