গ্রামে শান্তিপূর্নভাবে বসবাস ও অদুর ভবিষৎতে এ রকম ঘটনা আর না ঘটার লক্ষে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের দুইজন নির্দোষ ছাত্রকে(গত-২১-০৩-২০২৩)ইং তারিখের মারপিটকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিনের বিরোধ যা গ্রাম্য সালিশ এর মাধ্যমে রবিবার বিকালে দয়ারামপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উভয়পক্ষ ও ইউপি চেয়ারম্যান, এলাকাবাসী এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধের সমাধান করে সম্প্রীতির মাধ্যমে শান্তি ফিরিয়ে এনে নজীরবিহীন দৃষ্ঠান্ত স্থাপন করলেন কামারখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান কামারখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি জাহিদুর রহমান বিশ্বাস বাবু। তিনি রবিবার (০২ এপ্রিল) বিকালে কামারখালী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের দয়ারামপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উভয় পক্ষ এবং এলাকাবাসীর বক্তব্য শোনেন এবং সমাধান করে সকলকে তাক লাগিয়ে দেন। এ সময় কামারখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জাহিদুর রহমান বিশ্বাস বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষের মাঝে সম্প্রীতি ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চাই। সে লক্ষ্যে আমি সরেজমিনে এসে নির্দোষ দুটি কলেজ ছাত্রের অন্যায়ভাবে মারপিট বিরোধের জের সমাধান করেছি।’ এ সময় উপস্থিত ছিলেন কামারখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাকিব হোসন চৌধুরী ইরান, কামারখালী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউ,পি, সদস্য ছরোয়ার ফকির, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গোলাম রসুল, মোঃ ছাদেক হোসেন, পলাশ বিশ্বাস, লাভলু সর্দার, মিজানুর রহমান বিশ্বাস বাবলু সহ দয়ারামপুর ও গয়েশপুর গ্রামের প্রায় ১ হাজার লোক প্রমুখ। মারামারি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ চলছিল। কোন বিচার কারও সিদ্ধান্ত না মানায় যা গ্রাম্য সালিশে গড়ায় বিরোধ। বিবাদী অন্যায়কারী প্রধান আনারুল ও সহযোগী সালাম এর অত্যাচারে অতিষ্ঠ গয়েশপুর ও দয়ারামপুর গ্রামের নিরীহ জনগন । দীর্ঘদিন পর বিরোধের সমাধান হওয়ায় এলাকায় শান্তির সু বাতাস বইছে। যা দুই গ্রামের গন্যমান্য লোকের আলাপ-আলোচনা এবং পরামর্শ ক্রমে শান্তিতে সবাই বসবাস করার লক্ষে অন্যায়ভাবে কলেজ ছাত্রকে মারার অপরাধে চিকিৎসার জন্য দুইজন অপরাদীকে (আনারুল-৩০,০০০ এবং সালাম-২০,০০০)টাকা মোট ৫০,০০০(পঞ্চাশ হাজার) টাকা জরিমানা করে সালিশ মীমাংসা করলেন কামারখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাকিব হোসেন চৌধুরী ইরান। এ সময় সাবেক চেয়ারম্যান জাহিদুর রহমান বিশ^াস বাবু সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।