শিলাবৃষ্টি ও ভারীবর্ষণে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার নিম্নাঞ্চলের জমিগুলোতে পেয়াজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বুধবার বিকালে ঝড়ো-হাওয়া, শিলাবৃষ্টি ও ভারীবর্ষণ হয়। এতে অনেকেরই সাড়া বছরের কষ্টের ফসল পেয়াজ তলিয়ে গেছে পানির নিচে। শিলাবৃষ্টি ও ভারীবর্ষণে পানির নিচে তলিয়ে যাওয়া পেয়াজ সংরক্ষন করতে পারবে না তারা। ঘরে রাখলে পচন ধরবে। সেই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকেরা। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের নিচু জমিগুলোর পানির মধ্যে থেকে টেনে টেনে পেঁয়াজ উত্তোলন করতে দেখা যায় কৃষকদের। এসময় তাদের কপালে দেখা যায় দুশ্চিন্তার ভাঁজ। উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের জয়ঝাপ গ্রামের কৃষক হায়দার মোল্যা, কাজল মোল্যা ও রামকান্তপুর ইউনিয়নের আঃ আলিম বলেন, প্রতিবছরের কৃষিপণ্য পাট ও পেয়াজ দিয়েই চলে আমাদের সংসার। এবছরের পেয়াজের দাম কম থাকায় মুশকিলে আছি। তারপর আবার প্রচুর শিলাবৃষ্টিতে পেয়াজ তলিয়ে গেলো। তাড়াহুড়া করে যতদূর পারা যায়, ততদূর পারি পানি থেকে পেয়াজ ওঠাচ্ছি। কিছু পেয়াজ জমিতে থাইকা যাবে। তারপর যে পেয়াজ উঠাচ্ছি, তা ঘরে রাখা যাবে না, পঁচে যাবে। কম দামেই বিক্রি করা লাগবে। সব মিলিয়ে আমাদের বড় ক্ষতি হয়ে গেলো। তবে এই মুহুর্তে দাম যদি ভালো পেতাম তাহলে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসতো। উপজেলা কৃষি অফিসার জীবাংশু দাস বলেন, বৃষ্টিতে নিচু এলাকার জমিতে হালকা পানি জমে গেছে কোথাও কোথাও। যে পেঁয়াজগুলো তোলার সময় হয়নি, সেগুলো আর বড় হবে না। এছাড়া এখন তুললেও সংরক্ষণকাল কমবে। তবে সমতল জমির পেয়াজ এখনও ভালো আছে।