ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ১ টি চোরাই মোটরসাইকেল চোরকে আটকের সুত্র ধরে আরো ৪টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে ঐ মোটর সাইকেল চোর চক্রের কাউকে আটক করা সম্ভব না হলেও পলাতক চোরদের আটকের জন্য কঠোর নজরদারী রাখছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সুত্রে জানা গেছে রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দী উপজেলার বিপ্লব নামে এক ব্যাক্তির একটি মোটরসাকেল চুরির অভিযোগের ভিত্তিতে গুনবহা ইউনিয়নের অমৃত নগর এলাকার ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মেম্বারখ্যাত মফিজ মোল্ল্যা নামক এক ব্যাক্তির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে আরো ৪টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গত ২৫ শে মার্চ শনিবার বোয়ালমারী পৌর বাসটার্মিনালে উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের অমৃত নগর এলাকার ইউনিয়ন যুবদলের সাধারন সম্পাদক শহিদুল নামক এক ব্যাক্তির কাছে চোরাই যাওয়া মোটরসাইকেলটি দেখতে পায় বিপ্লব। পরে বিপ্লব মোটরসাইকেলটি নিজের দাবি করলে ঐ মোটরসাইকেল আরোহী শহিদুল গাড়িটি ফেলে রেখে পালিয়ে গেলে বিপ্লব ঘটনাটি ফরিদপুরের বোয়ালমারী থানা পুলিশকে অবগত করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মোটরসাইকেলটি উদ্ধার পুর্বক আরো ব্যাপক অনুসন্ধান চালিয়ে শহিদুলের পাশ^বর্তি বাড়ি মফিজ মোল্যার বাড়ি থেকে আরো ৪ টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে এ সময় ৫ টি মোরসাইকেল নিয়ে ঐ চোর চক্রের সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। স্থানীয় সুত্রে আরো জানা যায় শহিদুল নামে ঐ ব্যাক্তি দীর্ঘ দিন এলাকায় একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে জুয়া ও বিভিন্ন মাদক সেবন সহ চুরি ছিনতাই করে আসছিলো। এর আগে বোয়ালমারী উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন এর ছেলে শাকিল এর একটি মোটর সাইকেল চুরি যাওয়ার পর তা একই স্থান থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ছাড়াও সম্প্রতি অমৃত নগর মাদ্রসা থেকে ৩ লক্ষ টাকা চুরি হলে এ বিষয়ে কোন ধরনের আইনি ব্যবস্থা না নিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে বলেও অভিযোগ রয়েছে শাহিদুল ও মফিজের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে ঘটনার সাথে অভিযুক্ত শাহিদুল ও মফিজের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে বোয়ালমারী থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আব্দুল ওহাব জানান এ বিষয়টি আমি সহ আমার সকল অফিসারবৃন্দ অত্যন্ত আন্তরিকতার সহিত খতিয়ে দেখছি। আশা করছি অতি দ্রæত এ চোর চক্রের সকল সদস্যদের আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হবো। এ বিষয়ে মধূখালী সার্কেল এএসপি সুমন কর জানান, ঘটনাস্থলে চোর চক্রের সদস্যদের পাওয়া না গেলেও একটি সিন্ডিকেট এখানে রয়েছে বলে জানতে পেরেছি। আমাদের অভিযান অব্যহত রয়েছে এবং এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিবো। উদ্ধারকৃত মোটরসাইকেলগুলি আপাতত থানায় জব্দ তালিকায় রয়েছে।