‘চাকরি নয়, সেবা’ এই ¯েøাগানে শতভাগ মেধা, যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে ফরিদপুরে পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ পেয়েছেন ৭৩ জন। এই চাকরি পেতে একেক জনের আবেদন করতে লেগেছিল মাত্র ১২০ টাকা। তবে, চূড়ান্তভাবে নিয়োগ পাওয়া ৭৩ জন পুলিশ সদস্যদেরই অনলাইনে আবেদন ফি বাবদ নেওয়া ১২০ টাকা ফেরত প্রদান করেন পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শাহজাহান, পিপিএম-সেবা। কোনো প্রকার হয়রানি, সুপারিশ এবং ঘুষ ছাড়া পুলিশের গর্বিত সদস্য হতে পেরে খুশিতে আত্মহারা হতদরিদ্র এবং মধ্যবিত্ত পরিবারের এসব তরুণ-তরুণীরা। শনিবার (১৮ মার্চ) দুপুরে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শাহজাহান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বুধবার (১৫ মার্চ) রাতে ফরিদপুর পুলিশ লাইন ড্রিল শেডে পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান ট্রেইনি পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করেন। এতে ৬২ জন পুরুষ এবং ১১ জন নারী প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় জেলা পুলিশ। এসময় উপস্থিত ছিলেন- ফরিদপুরের পুলিশ সুপার ও ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি মো. শাহজাহান, পিপিএম-সেবা, নিয়োগ বোর্ডের সদস্য গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সাখাওয়াত হোসেন, নিয়োগ বোর্ডের অপর সদস্য রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইফতেখারুজ্জামান সহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ। এসময় স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যোগ্যতার মূল্যায়ণ করে চাকরি পাওয়ায় আবেগাপ্লুত হয়ে নিয়োগ বোর্ডে থাকা সকল অফিসারকে ধন্যবাদ জানিয়ে তারা, দেশমাতৃকার জন্য কাজ করার প্রতাশা ব্যাক্ত করেন। এব্যাপারে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান বলেন, ‘পুলিশ হেডকোয়ার্টারের নির্দেশনায় ও ঢাকা রেঞ্জের তত্ত্বাবধানে শতভাগ স্বচ্ছভাবে আমরা ৭৩ জনকে নিয়োগ দিয়েছি। এরা প্রত্যেকেই নিজ যোগ্যতার চূড়ান্ত পরীক্ষা দিয়ে এ পর্যন্ত এসেছে। স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্মার্ট ছেলে-মেয়েদের নিয়োগ দিয়েছি। এরা প্রত্যেকেই স্মার্ট পুলিশ হয়ে স্মাট বাংলাদেশ গড়তে ভূমিকা রাখবে বলে আশা রাখি। এ পুলিশ সুপার আরও বলেন, এ জেলায় চূড়ান্তভাবে নিয়োগ পাওয়া ৭৩ জন পুলিশ সদস্যদেরই অনলাইনে আবেদন ফি বাবদ নেওয়া ১২০ টাকা আমার ব্যক্তিগত ফান্ড থেকে ফেরত দিয়েছি। আমি চাই তারা বিনামূল্যে চাকরি পাক। তাদের যোগ্যতার মূল্যয়ন হোক। উল্লেখ্য, ফরিদপুর জেলার ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) ৭৩ জনের শূন্য পদের বিপরীতে মোট ২৫০০ জন প্রার্থী অংশ নেন। সেখান থেকে প্রিলিমিনারি স্ক্রিনিং শেষে ১৮০০ জন প্রার্থী শারীরিক মাপ, শারীরিক সক্ষমতা যাচাই পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পান। এখান থেকে বাদ পড়ে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন ৭১৬ জন। তাদের মধ্যে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ১৬২ জন প্রার্থী। এদের মধ্যে মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে ৭৩ জনকে মনোনীত করে নিয়োগ বোর্ড।