বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনীর দ্বারা সংঘঠিত হত্যাযজ্ঞকে ‘জেনোসাইড’ ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন দেশের বিশিষ্টজনেরা। বুধবার ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ‘মঞ্জুর এলাহী’ অডিটোরিয়ামে আলোচনা অনুষ্ঠানে এ দাবি জানান মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি, মফিদুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের পরিচালক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এম. শহিদুল হাসান এবং বঙ্গবন্ধুর সাবেক একান্ত সচিব ও ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন।
আলোচকগণ বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংঘঠিত হত্যাকাণ্ড ছিল নির্মম ও ভয়াবহ। এখানে ৩০ লাখ মানুষকে মেরে ফেলা হয়েছে, ৫-৬ লাখ নারীর সম্ভ্রম লুটে নেওয়া হয়েছে, ১ কোটির বেশি মানুষ উদ্বাস্তু হয়েছে। কাছাকাছি ধরনের ঘটনা বসনিয়া, রুয়ান্ডাতে ঘটছে যেগুলো জাতিসংঘের দ্বারা ‘জেনোসাইড’ এর স্বীকৃতি পেয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে সে তুলনায় অনেক বেশি অপরাধ সংঘটিত হলেও তা এখনও সেই স্বীকৃতি পায়নি। তাই বক্তারা, জাতিসংঘের কাছে ‘জেনোসাইড’ স্বীকৃতির দাবি জানান।
স্বীকৃতি আদায়ে আরও বেশি গবেষণা ও লেখালেখির মাধ্যমে সোচ্চার হতে নতুন প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র ‘স্টপ জেনোসাইড’ এবং ‘জনযুদ্ধ৭১’ প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে দলীয় সংগীত পরিবেশন হয়। অনুষ্ঠানে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সর্বস্তরের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।