ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় পাওনা টাকা চাওয়ায় সৌদি প্রবাসী সাবিনা বেগম (৪৫) নামের একজনকে এডিস নিক্ষেপের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ওই নারী বাদী হয়ে সোহেল খান ওরফে লিটন (৫০)ও নার্গিস বেগম(৪২)কে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। এদিন রাতেই দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের পর বুধবার সকালে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
এর আগে গত ২৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় উপজেলার টগরবন্দ ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া গ্রামে এই এসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। আহত নারীকে আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাষ্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, মামলার প্রধান আসমি আলফাডাঙ্গা পৌরসভা নওয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ডিস ব্যবসায়ী সোহেল খান ওরফে লিটন ধর্ম ভাই হওয়ার সুবাদে ব্যবসার কথা বলে সাবিনার কাছ থেকে ২০১৬ সালে ১৩ লাখ টাকা ধার নেন। প্রতিমাসে ১০ হাজার টাকা লাভ দেওয়ার কথা থাকলেও কিছু দিন পর লিটন তা বন্ধ করে দেন। সাবিনা বেগম ২০১৭ সালে চাকুরী নিয়ে সৌদি চলে যান। ছয় বছর থাকার পর ছুটিতে দেশে এসে টাকা চাইলে লিটন টাকা না দিয়ে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখায়। সাবিনার ক্ষতি করার জন্য তার পূর্বের স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রী নার্গিস বেগমের সাথে যোগাযোগ করেন।
ঘটনার দিন সন্ধ্যায় সাবিনা বেগম সাতবাড়িয়া গ্রামে তার অসুস্থ মামাকে দেখে ফেরার পথে বাবু ভূইয়ার বাড়ির পাশে কলার ঝোপের আড়ালে ওৎ পেতে থাকা আসামিরা পিছন থেকে তাকে এডিস ছুড়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদ মোল্যার স্ত্রী জাহানারা বেগম বলেন, সন্ধ্যার পর সাবিনার চিৎকার করে এসে বলল তাকে এসিড মারা হয়েছে। আমরা তার ক্ষতস্থানে পানি ঢাালি। তারপর তাদের বাড়িতে খবর দিলে বাড়ির লোকজন এসে নিয়ে যায়। তবে কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা বলতে পারবো না।
নার্গিস বেগম বলেন, আমি এ সব ঘটনার কিছুই জানিনা, আমার স্বামী রুহল আমিনের প্রথম স্ত্রী ছিল সাবিনা বেগম। আমার বিয়ের আগে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়েগেছে। আমি কেন এসিড মারতে যাবো?
ওসি মো. আবু তাহের জানান, বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে এসিড দমন আইনে দুই জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।