জমির বিক্রয় করে ক্রেতাকে বুঝিয়ে দেয়ার পর সেই জমি আবারো নিজের মেয়ে নামে লেখে দিয়েছে মেলান্দহের ঘোষেরপড় ইউনিয়নে সগুনা গ্রামের মোতাহার এখন জেল হাজতে। সূত্রে জানাযায় , সগুনা গ্রামের ইমান আলীর পুত্র মতিউর রহমান, মো, মনজুরুল ইসলামও মোখলেছুর রহমানের তাদের বসতবাড়ি প্রয়োজনে একই গ্রামের প্রতিবেশী মৃত কুব্বাত আলী মন্ডলের পুত্র মোতাহার আলী ও তার ভাই মাজেদের নিকট থেকে সাড়ে ছাব্বিশ শতাংশ জমি আট লক্ষ টাকা দিয়ে সগুনা মৌজায় যাহার বিআরএস খতিয়ান নং-৩৭৫। দাগ নং-৩২৪৩,৩১৪৪ও ৩১৪৮ দাগের কাতে সাড়ে ছাব্বিশ শতাংশ জমি ৩জানুয়ারী২০১৯ইং তারিখে দলিলমূলে রেজিস্ট্রি হয়েছে। জমি ক্রেতা মনজুরুল হকসহ তার ভাইরা কওলার পর দিন ৩১৪৩ ও ৩১৪৪ দাগে রাস্তার সাথে দক্ষিণ পাশ হতে সাড়ে ছাব্বিশ শতাংশ জমি পরিমাপ করে বিক্রেতা দুই ভাইয়ে বুঝিয়ে দেয়। জমি বুঝিয়ে পেয়ে ভূমি অফিস থেকে নামজারী করে আট শতাংশ জমির উপর মাটি করে ঘরভিটা নির্মান করে। বাকি ১৮ শতাংশ জমিতে নামা হওয়ায় ধান চাষ করে আসিতে ছিল। এরমধ্যে একবছর অতিবাহিত হওয়ার পর জমি বিক্রেতার সাথে জমি ক্রেতার বিরোধ দেখা দেয়। বিরোধের জের ধরে মোতাহার জানায় মতিউরের নিকট জমি বিক্রয় করার পূর্বে গত ১৯ জানুয়ারি ২০১৭সালে তার মেয়ে মুকুল বেগমের নামে হেবা কবিলত নামা রেজিস্ট্রি দলিল করে দিয়েছে। তখন জমি বিক্রেতা মোতাহার আলী বাড়ির আট শতাংশ জমি বাদে অবশিষ্ট সাড়ে আঠারো জমি ৩১৪৮ দাগ হতে নিতে বলে। যাহা ডোবা ও নিচু জমি বাড়ি করার অনুপযোগী। উক্ত ও নিচু জমিতে বাড়ি করা যাবে না বলে অস্বীকার করে। এঘটনা সমাধান করার জন্য স্থানীয় মাতাব্ব মিলে একটি শালিস করে। মাতাব্বরদের কথা না মেনে জমি বিক্রেতা বিবাদী পক্ষ দখলকৃত জমি বেদখল দেয়। বেদখলী জমি করে মুকুল বেগম তার চাচাতো ভাই মিজানুর রহমানের নিকট ওই ২৬ শতাংশ জমি সাব কওলামূলে বিক্রয় করে।সাড়ে ১৮ শতাংশ জমি আবাদ যোগ্য হওয়ায় বিবাদী পক্ষ জোরপূবক তাদেরকে ভয় দেখায়ে ধান রোপণ করে। নিরূপায় মন্জুরুল ইসলাম জমি বেদখল হলে সিআর আমলী আদালতে (মেলান্দহ) জামালপুর মামলা নং ৩৯০(১) ২০২২ ধারা ৪২০/৪০৬/৩৪। উক্ত মামলাটি মেলান্দহ থানায় তদন্ত দিলে থানা পুলিশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এই মামলার প্রতিবেদন দাখিল পরবর্তী শুনানি দিন বিবাদী মো.মোতাহার আলী ও তার ভাই মো.আব্দুল মাজেদে জামিন বিজ্ঞ আদালত না মন্জু করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।পরবর্তী শুনানি দিন বিজ্ঞ আদালত ২ নং বিবাদী আব্দুল মাজেদ কে জামিন মন্জুর করেন। মোতাহার জেলহাজতে থাকলেও তার ভাই আব্দুল মাজেদ জামিনে মুক্তি পেয়ে বাদীপক্ষকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।