বগুড়ার ধুনটে বিয়ের আট বছর পর জোরপূর্বক ৫ লক্ষ টাকা কাবিনে পুনরায় বিয়ে পড়ানোর অভিযোগ এসেছে কথিত কাজীর বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে ধুনট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, প্রায় আট বছর পূর্বে ধনুট উপজেলার গোপালনগর ইউনিয়নের সাতটিকরী গ্রামের মোঃ শহিদুল ইসলামের ছেলে আশরাফুল আলম (২৮) একই গ্রামের মোঃ শাহ আলীর মেয়ে সুবর্ণা খাতুন(২৭) কে সত্তুর হাজার টাকা মোহরানায় বিয়ে করেন । তাদের ঘরে আশা মনি(৬) নামে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। সাংসারিক বনিবনা না হওয়ায় ১৭ ই জানুয়ারী সুবর্ণা খাতুন বাবার বাড়ি চলে যায় । স্বামী আশরাফুল আলম বউ আনতে গেলে মুরব্বি ছাড়া পাঠাবে না বলে সুবর্ণার বাবা শাহ আলী জানান। গত ২৮ শে জানুয়ারি শনিবার বিকাল ৭.৩০ ঘটিকার সময় মুরুব্বিদের সাথে নিয়ে বউ আনতে গেলে, তাদেরকে ঘরের ভিতর বসতে বলে দরজা আটকিয়ে গলায় ধারালো ছুরি ধরে সেখানে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ওৎ পেতে থাকা গোপালনগর ইউনিয়নের চকডাকাতিয়া গ্রামের কথিত কাজী আবু সায়েম ও সুবর্না খাতুনের ভাই-চাচারা মিলে ৫ লক্ষ টাকার কাবিনে সাক্ষর নেয় এবং ৩০০ টাকা মূল্যের ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয় ।এবিষয়ে গোপালনগর ইউনিয়নের সাবেক কাজী মতিউর রহমানের ছেলে মামুন জানান, ইতিপূর্বে কাজী আবু সায়েমের নামে অতিরিক্ত অর্থের বিনিময়ে বাল্যবিবাহ সহ জোরপূর্বক বিয়ের রেজিস্ট্রি করানোর অভিযোগ রয়েছে । আমার বাবা মারা যাওয়ার পর মাওলানা রুহুল আমিন কে গোপালনগর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত কাজী নির্ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির মাধ্যমে কাজী নিয়োগ হওয়ার কথা, কিন্তু অনিয়মতান্ত্রিক উপায়ে আবু সায়েম কাজী পরিচয়ে এলাকায় বিয়ে পড়াচ্ছে। কাজী আবু সায়েমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি বুঝতে পেরে ডুপ্লিকেট একটি কাগজে বিয়ের নামে সাক্ষর নিয়েছি, আসলে বিয়ের রেজিস্ট্রেশন হয়নি। আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে, আমার পেশার বৈধতা রয়েছে । এ বিষয়ে ধুনট থানার এস আই আঃ আজিজ বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি কাজী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। সম্পূর্ণ তদন্ত সাপেক্ষে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো ।