বান্দরবানে আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর সাথে সেনাবাহিনীর সংঘর্ষে কেএনএফের এক সদস্য নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি একনলা বন্দুক ও ১০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় রুমা উপজেলা সদর থেকে ৮ কিলোমিটার দুরে আর্থা পাড়া ও বাছলাং পাড়ার মাঝামাঝি স্থানে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর আতঙ্কে ঐ এলাকার কয়েকটি পাড়ার শতাধিক নারী পুরুষ রুমা উপজেলা সদরে এসে আশ্রয় নিয়েছে। রবিবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে নিহত কেএনএফ সদস্যের লাশ উদ্ধার করেছে। রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন, কেএনএফের সশস্ত্র সদস্যরা পাহাড়ে অবস্থান নিয়েছে এমন খবরে সেখানে সেনাবাহিনী অভিযান চালালে কেএনএফ এর অস্ত্রধারীরা সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় উভয় পক্ষের গোলাগুলিতে এক কেএনএফ সদস্য ঘটনাস্থলে নিহত হয়। তবে তার নাম ঠিকানা জানা যায়নি। ঘটনার সময় আহত বেশ কয়েকজন কেএনএফ সদস্য সেখান থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে একটি একনলা বন্দুক ও ১০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মামুন শিবলি জানিয়েছেন, আতঙ্কে রুমা উপজেলা সদরে অবস্থান নেওয়া শতাধিক নারী-পুরুষদের সকালে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য,২০২০ সাল থেকে পাহাড়ে বম সম্প্রদায়ের কিছু বিপথগামী যুবক সশস্ত্র সংগঠন কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট নামে একটি সশস্ত্র সংগঠন গড়ে তোলে।জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকীয়ার বেশকিছু সদস্যরা রোয়াংছড়ি-রুমা ও থানচি এলাকায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) গোপন আস্থানাতে জঙ্গি ও সশস্ত্র প্রশিক্ষণ নেওয়ার সংবাদে গত ৯ অক্টোবর-২০২২তারিখ হতে ওই সব এলাকায় জঙ্গি ও সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী। গত ২০ অক্টোবর ওই সব এলাকা থেকে ৭ জন জঙ্গি ও ৩ জন কেএনএফ সদস্য এবং ১১ জানুয়ারি আরো ৫ জন জঙ্গি সদস্যকে যৌথবাহিনী আটক করে।