মানুষের দুর্গতি নিরসনে সুরমা নদীন খননকাজ শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে আব্দুল মোমেন এমপি।
গতকাল শনিবার সকালে সিলেট সদর উপজেলার মোগলগাঁও ইউনিয়নের চাঁনপুর খেয়াঘাট এলাকায় সুরমা নদীর খননকাজের উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বন্যার প্লাবন ও নদীভাঙন রোধকল্পে এ পরিকল্পনা কাজে আসবে বলে আমি আশা করি।’ এছাড়া সুরমা নদীর খননকাজ বন্যা মোকাবিলা ও ভাঙন রোধে সহায়ক হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
নদী খনন কাজের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ‘কুটনীতিক মো. তৌহিদুল ইসলাম ভেরি গুড অফিসার’ বলে প্রশংসা করে বলেন, ‘বর্তমানে সে আমাদের অ্যাম্বাসেডার ইন সিঙ্গাপুর। আমরা তাকে ভিয়েনাতে দিতে চাই। সেখানে গিয়ে মাল্টিন্যাচারাল কাজ আছে আমাদের ধারণা। সে যখন অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ পরীক্ষা দেয়, তখন সারা বাংলাদেশের মধ্যে সে প্রথম হয়। তারপরে সে তার ব্যাচের ফার্স্টবয় ছিল। অত্যন্ত ভালো, তুখোড় ছেলে। এখন ওরে টেনে কিভাবে নামানো যায়, তার জন্য তার মন্ত্রণালয়ের লোকজন, তারই বন্ধুবান্ধবরা কন্টিনিউয়াসলি…’। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ইউএনওতে চারটা বড় রিকগনিশন নেয়। একটা হচ্ছে শান্তি ও সংস্কৃতি। আর দুটো বড়, একটা হচ্ছে অটিজমের ওপর একটি এবং আরেকটি হচ্ছে মানুষের ক্ষমতায়ন। এই দুটোতে এই ছেলে (তৌহিদুল) প্রথম কাউন্সিলর ছিল ইউএনওতে এবং সে অসম্ভব তুখোড় ছেলে। কিন্তু তার শত্রু আছে। ওখানে গিয়ে সে যখন মিলানে কনসাল জেনারেল ছিল, কনসাল জেনারেল থাকা অবস্থায় কোনো একটা মেয়েকে তার পেছনে লাগিয়ে দেয়। লাগিয়ে দিয়ে একটা কেলেংকারির চেষ্টা করে। তখন তাকে উহ্য করা হয়, সাসপেন্ড করা হয়, অনেক ইনভেস্টিগেশন করা হয়, সরকারের অনেক টাকা, আপনাদের টাকা খরচ করা হয়। পরে দেখা যায় একেবারে বানোয়াট। তারপর তার প্রমোশন হয়, তারপর অ্যাম্বাসেডার হয়। এখন তার বিরুদ্ধে আবার লাগছে একদল, তারই বন্ধুবান্ধব হবে। আর না হয় পত্রিকায় এগুলো গেল কিভাবে? হি ইজ অ্যা ভেরি গুড অফিসার। আমি যদ্দিন আছি, আই উইল ডিফেন্ড হিম।’