চায়ের দোকান থেকে শুরু সবখানে এখন আলোচনা রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। অন্যদিকে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় জমে উঠেছে পুরো নগর। ঘটছে আচরণ-বিধি লঙ্ঘনের ঘটনা। আছে প্রার্থীদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগও। নির্বাচন কমিশন বলছে, ভোটের মাঠ সমতল রাখতে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ভোট গ্রহণ কার্যক্রম নির্বিঘ্ন করতে শুক্রবার সকাল ১০ টা বিকেল ৪ টা পর্যন্ত ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ভোটারদের ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দেওয়া শেখাতে শুরু করেছে রংপুর নির্বাচন কমিশন । একই ভাবে আজ শনিবার ভোট শিখন প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার সকাল থেকে পৌষের কঠিন শীত উপেক্ষা করে ভোটার শিক্ষণ কার্যক্রম ভেন্যু ভোটার উপস্থিত হতে দেখা গেছে। উপস্থিতি আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন রসিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবদুল বাতেন। তিনি বলেন ইভিএম নিয়ে স্পষ্ট ধারণা দিতে সব প্রার্থী, ভোটার ও ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালানোর মাধ্যমে উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট লিখন চলছে। ভোট শিখন কে স্বাগত জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার লতিফুর রহমান মিলন। অন্য দিকে জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী ইসির মক ভোট নিয়ে মোস্তফার অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, রংপুর সিটি কর্পোরেশন (রসিক) নির্বাচনে প্রথমবারের মতো সব কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএমে) ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য ভোটারদের ইভিএমের ধারণা দিতে দুই দিনের মক ভোট কার্যক্রম শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু এই মক ভোটের উদ্যোগ ভোটারদের কোনও কাজে আসছে না। এছাড়াও ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী (কুমড়া প্রতিক) নজরুল ইসলাম দেওয়ানি, ২০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী (ঠেলাগাড়ি প্রতীক) বহুলুর ইসলাম জেফলিন সহ প্রায় ১০ জন কাউন্সিলর প্রার্থী ইভিমের ভোট শিখন বা মগভোটিং যথেষ্ট নয় দাবি করে বলেন রংপুরের মানুষ সহজ সরল তাদের জন্য ব্যাপক প্রচার ও প্রশিক্ষণ প্রজন বলে জোরালো দাবি করেন। স্থানীয় ভোটাররা জানান, ২৫ বছর ঠকেছি আর ঠকতে চাই না। আশ্বাস ও প্রতিশ্রুতি দিয়েই মন জয় করার চেষ্টা করছে প্রার্থীরা। তবে রাস্তাঘাট ও ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ উন্নয়ন কাজ করবেন তাকেই ভোট দিবেন জনগণ। সাধারণ ভোটাররা জানান, যানজট নগরী ও রংপুরের উন্নয়ন, গরিবের পাশে দাঁড়াবেন এমন প্রার্থীকেই ভোট দিবেন তারা। জাপার মেয়র প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা বলছেন, ‘২৭ তারিখের নির্বাচন হবে এক তরফা লাঙ্গলের। আর যা প্রার্থী দেখছেন সম্মান বাঁচানো নিয়ে ব্যস্ত। অনেকে ভয়ে মাঠ ছেড়েছেন।উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে লাঙ্গল মার্কায় ভোট দিবেন জনগণ।’ আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট হোসেনে আরা লুৎফা ডালিয়া জানালেন, ‘সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নৌকার বিকল্প নেই জনগণ তাকিয়ে আছে ২৭ তারিখের দিকে নৌকা মার্কার বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন।’ নির্বাচন রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন জানান, ‘৪ স্তরের নিরাপত্তার জোরদার করা হয়েছে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে।অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’ যানজট নিরসন ও সিটির উন্নয়নসহ সৎ যোগ্য প্রার্থী দেখে ভোট দিবেন তারা। ৩৩টি ওয়ার্ডে ২২৯টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট গ্রহণ। সিসি ক্যামেরা বসানো হবে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে।