সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন অজ্ঞাত এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- উপজেলার মুজিবনগর গ্রামের জলিল মিয়ার ছেলে জব্বার মিয়া, একই গ্রামের বারেক মিয়ার ছেলে বাচ্চু মিয়া ও বুধিগাঁও হাওড় গ্রামের হারুন অর রশিদের ছেলে সেবুল মিয়া।
গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে গোয়াইনঘাট সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার প্রবাস কুমার সিংহ এ তথ্য জানান।
সুপার প্রবাস কুমার সিংহ বলেন, বাচ্চু মিয়া, জব্বার মিয়া ও সেবুল মিয়া নিয়মিত ইয়াবা সেবন করত এবং মাঝেমধ্যে ভারতীয় খাসিয়াদের বাগান থেকে সুপারি চুরি করত। এ ছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে এলাকায় ছিঁচকে চুরিরও অভিযোগ রয়েছে। বাচ্চু মিয়া ধর্ষণ এবং হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। অপর দুজনও পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে।
তিনি আরও বলেন, গত ১১ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ১০টার দিকে তারা একসঙ্গে ইয়াবা সেবন করে। একপর্যায়ে তারা তিনজন মিলে কেক, বিস্কুট এবং কোমল পানীয়র লোভ দেখিয়ে তামাবিল পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন বাজার থেকে অজ্ঞাতপরিচয়ের মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীকে স্থানীয় একটি টিলায় নিয়ে যায়। সেখানে তারা তিনজনে মিলে সংঘবদ্ধভাবে ওই নারীকে ধর্ষণ করে। এ সময় বাধা দিলে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে লাঠি ও পাথর দিয়ে ওই নারীর মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরদিন স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় গোয়াইনঘাট থানার এসআই জহিরুল ইসলাম খান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ১২ ডিসেম্বর থানায় একটি মামলা করেন।
নবচেতনা /এমএআর