সিলেটে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ আগামীকাল (শনিবার)। দলের নেতাকর্মীরা এরই মধ্যে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হয়েছেন। সমাবেশে কোনো বিশৃঙ্খলা হলে কঠোরভাবে প্রতিহতের কথা বলছে আওয়ামী লীগ। নগরীতে শোডাউন দিচ্ছে ছাত্রলীগ। আর পরিস্থিতি মোকাবেলায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।
এদিকে শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) সকাল থেকেই মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে পরিবহন ধর্মঘট চলছে। তবে সবকিছু ছাপিয়ে সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে বিএনপি নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতি দেখা গেছে।
সিলেট মহানগর মহিলা দলের সভানেত্রী অ্যাডভোকেট রুকসানা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, সমাবেশকে ঘিরে এরই মধ্যে একটি উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। ধর্মঘট নিয়ে বিএনপির অভিযোগ, বিভাগীয় গণসমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির সাংবাদিকদের বলেন, কারা কী জন্য ধর্মঘট ডেকেছেন এটা বোঝার বাকি নেই। তবে ধর্মঘট করে জনরোষ আটকানো যাবে না।
সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি সভাপতি কলিম উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, সরকার ধর্মঘট দিয়ে মানুষকে সমাবেশে যাওয়া বন্ধ করতে পরবে না।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেছেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করুক তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। যদি বিশৃঙ্খলা করে, তাহলে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে। ‘চাপে পড়ে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে’ বিএনপির এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা। বাস মালিক সমিতির দাবি, মহাসড়কে অবৈধ যান বন্ধসহ কয়েকটি দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।
জেলা শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকারিয়া সাংবাদিকদের জানান, সিএনজি, অটোরিকশার নতুন রেজিস্ট্রেশন বন্ধসহ চার দফা দাবিতে ধর্মঘট দেওয়া হয়েছে। এটা ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ।
সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন ও বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল কবির পলাশ সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপি যদি বলে যে, আমরা ইচ্ছে করে ওনাদের সভার দিনে ধর্মঘট ডেকেছি, তাহলে আমি মনে করি এটা ঠিক হবে না।
এ বিষয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ সাংবাদিকদের বলেন, সমাবেশের নামে যদি কেউ বিশৃঙ্খলা বা নাশকতা করে, তবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নবচেতনা / এমএআর