নরসিংদীর রায়পুরায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে নীলকুঠি এলাকায় বাস-তেলবাহী লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষে বাসে থাকা চালকের সহকারীসহ ১২ জন যাত্রী আহত। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে আশপাশের সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে আহতদের নাম পরিচয় যানা যায়নি।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটায় উপজেলার নীলকুঠি বাস্ট্যান্ড এলাকার এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকে ঢাকা সিলেট মহাসড়কে দীর্ঘ সময় তিব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ভৈরব হাইওয়ে থানা পুলিশ যানযট নিরসনে কাজ করে। সকাল ১১টায় গাড়ি দুটো উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা যাতায়াত পরিবহন নামের একটি বাস ঢাকা যাবার পথে নীলকুঠি বাসস্ট্যান্ডে আসা মাত্রই অন্য একটি সিএনজির যাত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে বিপরীত দিকের ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা একটি যমুনা কোম্পানির তেলবাহী ট্যাঙ্কলরির মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। লরির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষের পর বাসটি সড়কের পাশে একটি হোটেল ও বিদ্যুৎতিক খুটিতে আঘাত আনে। ১১কেবি সঞ্চালন লাইনের বিদ্যুৎতিক খুঁটি এবং হোটেলের কিছু অংশ ভেঙে ক্ষতি সাধন হয়। উভয় গাড়ির সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায়। এতে ওই বাসে থাকা কমপক্ষে ১২জন যাত্রী আহত হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়। প্রাথমিক ভাবে আহতদের নাম পরিচয় যানা যায়নি। এ ঘটনায় বাসের চালকের সহকারী এক পা ভাঙা অবস্থায় গুরুতর আহত হন। এ ঘটনার পর থেকে উভয় গাড়ির চালক পালিয়ে যায়। বাস চালক বেপরোয়া গতিতে চালাচ্ছিলেন বলে জানান বাসে থাকা যাত্রীরা।
বাসে থাকা যাত্রী আবদুল আওয়াল সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকার উদ্দেশ্যে ভৈরব বাস্ট্যান্ড থেকে ওই বাসে উঠি। খুব অল্প বয়সের চালক বেপরোয়া গতিতে গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। অনেক যাত্রী বেপরোয়ায় না চালাতে বার বার নিষেধও করে। নীলকুঠিতে আসা মাত্রই একটি সিএনজি সড়কে উঠে পরে। ওই সিএনজিতে থাকা যাত্রীদের বাঁচাতে চালক ডানদিকে যেয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা লরির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বাসের হেলপার পা ভেঙে গুরুতর আহত। ১২জনের মত আহত। বাসটি পরিপূর্ণ যাত্রী নিয়েন যাচ্ছিল। সিএনজি চালকের ওই দোষ বেশি ছিল। পাশাপাশি অদক্ষ চালকের কারনে আমরা সবসময় আতংকে থাকি।
এ বিষয়ে হাইওয় ভৈরব হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক নুর সাংবাদিকদের বলেন,
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে গাড়ি দুটি জব্দ করে থানা হেফাজতে নিয়ে যাচ্ছি। এ ঘটনার পর থেকে উভয় গাড়ির চালক পলাতক। পরবর্তী আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া হবে।