সিলেট জেলা ও নগরীতে সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য চলছে। সিলেটে বর্তমান সময় সাধারণ মানুষের কাছে ভাড়া নিয়ে আতংকের বাহনের নাম সিএনজি অটোরিকশা। জেলা বা নগরীর ভিতরে প্রতিটি জায়গায় ভাড়া বাড়ছে দ্বিগুণ তিনগুণ দেখার বা কথা বালার কেউ নেই।হাসান মার্কেট কাপড়ের দোকানে চাকরি করেন রহিম মিয়া বলেন আগে আমি ১০ টাকায় আসতাম শিবগঞ্জ থেকে এখন তারা ২০ টাকা নেয়। বেতনত বাড়ে নাই কিন্তু ভাড়া বাড়ছে তাই এখন খুব কষ্ঠে চলতে হচ্ছে।আমাদের দেখার যেনো কেউ নাই।কয়একজন সিএনজি চালকের সাথে কথা বললে তারা বলেন আগে আমরা যাত্রী নিতে পারতাম ৫ জন এখন নিতে হয় তিন জন এবং জিনিস পত্রের যে ভাবে দাম বাড়ছে আমরা ভাড়া না বাড়িয়ে চলব কী করে লছ দিয়েত আর গাড়ী চালাতে পারব না।
সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাদের সাথে কথা হলে তারা বলেন আমরা সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া নির্ধারণ করতে পারব না এটা আমাদের কাজ না।সিলেট বি আর টিএ প্রকৌশলী মোঃরিয়াজুল ইসলামের কাজে সিএনজি ভাড়া নির্ধারণ করে দিচ্ছেন না কেনো এ বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন সিলেটে সিএনজি ভাড়ার কোনো নীতিমালা না থাকায় আমরা ভাড়া নির্ধারণ করে দিতে পারছি না।সিএনজি অটোরিকশার নিময় হলো যাত্রীদের সাথে ভাড়ায় চুক্তিতে চলবে।তবে যাত্রীদের কাজ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করার করনে আমরা খুব শীগ্রই সিএনজি নীতিমালা সিলেটে করতে চাচ্ছি এবং নিতিমালা খুব দ্রুত হবে আশাকরি।
তিনি আরো বলেন অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করলে যাত্রীদের ও উচিত তার প্রতিবাদ করা।এখন পর্যন্ত কোনো যাত্রী আমাদের কাছে অভিযোগ নিয়ে আসেননি।জেলা নম্বার বিহীন সিএনজি চলছে এ বিষয় জানতে চাইলে রিয়াজুল ইসলাম একথায় বলেন আমরা যখন মোবাইল কোর্ট করি তখন তাদের পাওয়া যায় না।তবে আমি জানি সিলেট জেলায় নম্বার বিহীন গাড়ী চলতেছে, ট্রাফিক পুলিশরা যদি নম্বার বিহীন সিএনজি গাড়ীর দিখে নজর দিন তবে সেটা কমে আসবে।অটোরিকশার এমন নৈরাজ্য প্রতিরোধে ট্রাফিক বিভাগের তৎপরতাও তেমন একটা চোখে পড়ে না বলে যাত্রীদের অভিযোগ। তবে ট্রাফিক পুলিশ বলছে-এ নৈরাজ্য বন্ধে তাদের আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই।