নানা ইস্যুতে বিভক্তি শুরু হয়েছে বিএনপিতে। বিশেষ করে মির্জা আব্বাসকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া, খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে বিএনপিকে অন্ধকারে রাখা, রাজনৈতিক কৌশল ইত্যাদি নিয়ে দলের মধ্যে মতবিরোধ, অস্বস্তি ও অনাস্থা চূড়ান্ত রূপ ধারণ করেছে।
দলের মধ্যে লক্ষ্য করা যাচ্ছে নানারকম অবিশ্বাস ও কোন্দল। তবে এটি প্রকাশ্য হয়েছে মির্জা আব্বাসের কারণ দর্শানোর নোটিশের মধ্য দিয়ে। আর এসব কোন্দলের মধ্যে বিএনপিতে গণপদত্যাগের ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে বলে বিভিন্ন রাজনৈতিক সূত্র আভাস দিয়েছে।
মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে যদি শেষ পর্যন্ত কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয় তাহলে তিনি দল থেকে পদত্যাগ করবেন। মির্জা আব্বাস পদত্যাগ করলে তার ধারায় দলের মধ্যে একটি অংশ গণপদত্যাগ করতে পারে, এমন আভাস পাওয়া গেছে।
সূত্র জানায়, মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস মহিলা দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এছাড়াও ঢাকা মহানগরীতে এবং ছাত্রদলের মধ্যে মির্জা আব্বাসের প্রভাব রয়েছে। এছাড়া স্থায়ী কমিটির অন্তত দু’জন সদস্য মির্জা আব্বাসকে এভাবে কারণ দর্শানো নোটিশের তীব্র আপত্তি প্রকাশ করেছেন।
কাজেই মির্জা আব্বাসের ইস্যুতে বিএনপির মধ্যে একটা বড় ধরনের ভাঙনের সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করছে বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল।
তবে বিএনপি নেতারা মনে করছেন, শুধু মির্জা আব্বাস নয়, সাম্প্রতিক সময়ে অনেকগুলো ইস্যুতেই বিএনপির মধ্যে মতবিরোধ তীব্র আকার ধারণ করেছে।
অপরদিকে বিএনপির সঙ্গে ২০ দলের সম্পর্ক কী হবে, জামাতের সঙ্গে বিএনপি থাকবে কী থাকবে না; এ নিয়ে বিএনপির মধ্যে দ্বন্দ্ব এখন প্রকাশ্য। সম্প্রতি ২০ দলীয় জোটের একটি বৈঠক হলে সে ব্যাপারে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। আবার বিএনপির মধ্যে একটি প্রভাবশালী অংশ জামায়াত এবং হেফাজতকে নিয়ে সরকারবিরোধী বৃহত্তর আন্দোলনের পক্ষে।
আর এ রকম যদি পরিস্থিতি তৈরি হয় তাহলে ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলে থাকবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। জামায়াতের সঙ্গে থাকা না থাকা, হেফাজতের সঙ্গে সম্পর্ক ইত্যাদি নিয়ে বিএনপিতে চলছে টালমাটাল পরিস্থিতি।
বিশেষ করে বিএনপির কোনো কোনো নেতা মনে করছেন, হেফাজতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক কী তা পরিষ্কার হওয়া উচিত।