লেখক মুশতাক আহমেদের কারাগারে মৃত্যুর বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এ বিষয়ে ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের মাধ্যমে লেখক মুশতাকের মৃত্যু রহস্য উন্মোচিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি-বিআরটিএ আয়োজিত সেবা সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। সেতুমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য একদিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা যেমন জরুরি, তেমনি এ আইনের অপপ্রয়োগ যাতে না হয় সে বিষয়ে সরকার সচেষ্ট বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
মন্ত্রী বলেন, ‘সরকার মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী, স্বাধীনতা মানে এই নয় যে, যা খুশি বলার নিরঙ্কুশ বা একচেটিয়া অধিকার থাকবে।’
অন্যের মতামতকে সম্মান জানানোও স্বাধীন মতপ্রকাশের সীমানাভুক্ত উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সরকার অত্যন্ত সতর্ক রয়েছে এই আইনের ব্যবহার নিয়ে। কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা যাতে এ আইনের অপব্যবহার করতে না পারে সেদিকটাও থাকা জরুরি।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনাটি তদন্তাধীন। তদন্তাধীন ইস্যুতে একটি কুচক্রী মহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা করছে ।’
আজ থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বিভাগীয় পর্যায়েও লাইসেন্স দেওয়ার কাজ শুরু করা হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘লাইসেন্স সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে এ বিষয়ে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের পরিচয় দিতে হবে।’
বিআরটিএকে একটি সঠিক সেবামুখী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, ‘এই প্রতিষ্ঠানের সেবা পেতে এখনও গ্রাহক ভোগান্তিতে আছে। তবে এ ভোগান্তি প্রযুক্তির ব্যবহারের কারণে কমে আসছে। ডিজিটাল সেবার আওতা বাড়ানা গেলে দুর্নীতি ও অনিয়ম অনেকটা কমে যাবে।’
বিআরটিএ’তে দালালের দৌরাত্ম এখনো আছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অফিসের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে তাদের যোগাযোগ রয়েছে, তাদের সখ্যতায় গড়ে উঠেছে এ চক্র।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বিভাগীয় কমিশনারদের নির্দেশনা দিয়ে বলেন, ‘পরিবহন বিষয়ক যে কোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা নিয়ে কাজ করতে হবে এবং অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আওয়ামী লীগ কেন্দ্র থেকে তৃণমূলে যথাযোগ্য মর্যাদায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, আলোচনা সভা ও ভাষণ প্রচারের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালনের আহ্বান জানান।