বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুন্ঠিত করে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, আজকের উগ্র সাম্প্রদায়িকতার উৎসমুখ জিয়াউর রহমানই উন্মুক্ত করেছিলেন।
শনিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। তিনি তার রাজধানীর সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সম্মেলনে যুক্ত হন।
জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার মূল্যবোধকে নির্বাসনে পাঠিয়েছিলেন, মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বণি জয়বাংলাকে করেছিলেন নিষিদ্ধ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, স্বাধীনতার পরবর্তীকালে তাঁর ভূমিকা মুক্তিযোদ্ধাদের কাছেই প্রশ্নবিদ্ধ ছিল।
জিয়াউর রহমান নিজেই নিজেকে বিতর্কিত করেছে বলেও মনে করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি মনে করেন, একজন সেক্টর কমান্ডারের এমন মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তি তোষণ ও পোষণ নীতিতে ইতিহাস নিজেই জিয়াউর রহমানকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে।
১৫ আগস্ট পৃথিবীর ইতিহাসের নির্মম রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের প্রধান বেনিফিশিয়ারী ছিলেন জিয়াউর রহমান উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, জিয়াউর রহমানই খুনিদের পুনর্বাসন করেছিলেন, বিভিন্ন দূতাবাসে দিয়েছেন চাকরি এবং খুনিদের বিদেশে পালিয়ে যেতেও সহযোগিতা করছেন।
ওবায়দুল কাদের জিয়াউর রহমানকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির জনক বলেও মন্তব্য করেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা, উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে নিবেদিত প্রাণ ও ত্যাগীদের মূল্যায়ন করতে হবে। বিতর্কিত ও বসন্তের কোকিলদের দলে আনা যাবে বলেও জানান তিনি।
আগামীকাল অনুষ্ঠিতব্য ৫ম ধাপের পৌরসভা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবার আশাবাদ ব্যক্ত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, অন্যান্য ধাপের মতো আগামীকালের নির্বাচনেও সরকার কোনরূপ হস্তক্ষেপ করবে না।
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, তৃণমূলে জনগণের ক্ষমতায়ন ও উন্নয়নে এগিয়ে নিতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রার্থীতাসহ অন্যান্য বিষয়ে দলীয় নির্দেশনা বা গাইড লাইন ইতিমধ্যেই জেলায় পাঠানো হয়েছে বলে জানান।
প্রত্যেক ইউনিয়ন কমিটি সভা করে এক থেকে তিনজন সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করে দলের ইউনিয়ন কমিটির রেজুলেশন বা লিখিত সুপারিশ উপজেলা ও জেলা কমিটির স্বাক্ষরসহ ধানমন্ডির দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে জমা দিতে হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, স্থানীয়ভাবে মনোনয়ন দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সুপারিশকৃত নামসমূহ যাচাই-বাছাই ও বিভিন্ন জরিপ শেষে দলীয় সভাপতির নেতৃত্বে মনোনয়ন বোর্ড প্রার্থীতা চূড়ান্ত করবে।