জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়াল। এছাড়া জামায়াতের বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম প্রক্রিয়া শুরু করতে আইন মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। এম এ আউয়াল বলেন, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধ শক্তি জামায়াতে ইসলামী এখনও নিরাপদে তাদের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। স্বাধীনতাযুদ্ধে বিরোধিতাকারী এই রাজনৈতিক দলকে দ্রুত নিষিদ্ধ করতে হবে। আমরা জানি, নির্বাচন কমিশনে দলটির নিবন্ধন স্থগিত আছে। উচ্চ আদালতে দলটিকে নিষিদ্ধের বিষয়টি এখন বিচারাধীন। দলমত নির্বিশেষে একাত্তরের পরাজিত শক্তির বিরুদ্ধে আবারও সবাইকে সতর্ক হতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের দাবি খুব পরিষ্কার দেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধের এই দলকে নিষিদ্ধ দেখতে চায়। এই বিষয়টিতে ‘মীমাংসা’ দেখতে চায়। জামায়াত নিষিদ্ধ হোক এটাই এখন বর্তমান সময়ের দাবি।
এম আউয়াল বলেন, জাতির পিতার জন্মশত ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে দেশের মানুষ ‘ঘাতক, দালাল, রাজাকার, আলবদর নেতাদের বিচার নিশ্চিতের’ মতো জামায়াতে ইসলামীর বিচার দেখতে চায়। আমরা এজন্য আইন মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগ ও সৌদি আরব সরকারের অনুদানে নির্মিত ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক প্রকল্পের নামকরণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে নামকরণ করার দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের পক্ষ থেকে সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বছরব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেন এম এ আউয়াল। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারত, সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বছরব্যাপী আলোচনা সভা, সেমিনার ইত্যাদি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামি গণতান্ত্রিক পার্টির মহাসচিব অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম খান, প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মাসুদ আহমদ, ওমর ফারুক, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান, মামুন পারভেজ, সুফিয়া রশিদ, ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আনিসুর রহমান শেখ, জাকির হোসেন, মাহমুদ সালেহীন খান প্রমুখ।
সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ৫০ সদস্যের কমিটি
সংবাদ সম্মেলনে সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে একটি বিশেষ উদযাপন কমিটি গঠনের কথা জানান এম এ আউয়াল। তিনি বলেন, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মাসুদ আহমদকে আহ্বায়ক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমানকে সদস্য সচিব করে ৫০ সদস্য বিশিষ্ট একটি উদযাপন কমিটি করা হয়েছে।
এ সময় তিনি করোনাভাইরাসের টিকা উপহার দেওয়ার জন্য ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।