বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করার দায়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার নড়াইল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট-২ এর বিচারক আমাতুল মোর্শেদা এই রায় ঘোষণা করেন।
এ মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট সঞ্জীব কুমার বসু। তিনি তারেক রহমানের দুই বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, পাঁচ বছরের অধিক সময় ধরে সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তারেক রহমানকে এই দণ্ডাদেশ দেন।
মামলাটির বাদী ছিলেন নড়াইলের কালিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ও আওয়ামী লীগের কর্মী বেন্দারচর গ্রামের শাহজাহান বিশ্বাস।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০১৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে ইংল্যান্ডের ইস্ট লন্ডনের এন্ট্রিয়াম ব্যাংকওয়েট হলে যুক্তরাজ্য বিএনপির এক সভায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান জাতির পিতা মহান মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক ও বাংলাদেশের স্থপতি ও রূপকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘রাজাকার ও পাকবন্ধু’ বলেন। তাছাড়া ওই সময় তারেক রহমান অনেক আপত্তিকর ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেন। তার এমন বক্তব্যে বাদীসহ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের জনগণ বিস্মিত হয়েছে। বক্তব্যটি মানহানিকর ও মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার শামিল। তারেক রহমান ওরফে তারেক জিয়ার এই বক্তব্যে মহান মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের জনগণের এক হাজার কোটি টাকার মানহানি ঘটেছে।