বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের যদি ন্যূনতম লজ্জা থাকে, তাহলে তাদের এই মুহূর্তে পদত্যাগ করে উচিত। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি। নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের দাবিতে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশন এ দেশের সবচেয়ে ঘৃণিত ও ধিক্কৃত একটি প্রতিষ্ঠান। আমরা বারবার নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ চেয়েছি, সরিয়ে দিতে বলেছি। শুধু আমরা রাজনীতিবিদেরা নই, দেশের যারা বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী আছেন, দেশের যে এনজিও আছে, এমনকি বিদেশের সংস্থাগুলো বলছে, এই নির্বাচন কমিশনকে না সরালে দেশে কখনোই একটি সুষ্ঠ নির্বাচন হবে না। ফখরুল বলেন, যখন এই নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়, তখন সম্পূর্ণ পক্ষপাতিত্বভাবে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ব্যক্তিদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। এই নির্বাচন কমিশন কখনোই সুষ্ঠভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবে না। বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই কমিশন শুরুতে দায়িত্ব পালন করতে পারেনি। শুধু তাই নয়, তারা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। তাদের সেই যোগ্যতা নেই যে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করবে। জাতীয় নির্বাচন গেছে, এখন স্থানীয় সরকার নির্বাচন তারা একইভাবে লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। ভোট চুরি করে নিয়ে যাওয়ার পর সিইসি বলেন, ভোট সুষ্ঠু হয়েছে। এতই সুষ্ঠু হয় যে কোনো কোনো কেন্দ্রে শতকরা ১০০ ভাগের বেশি ভোট পড়ে যায়। বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ১১ জানুয়ারি একটি বিশেষ কালো দিন। ২০০৭ সালের এই দিনে একটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তের মধ্যে দিয়ে সেনা সমর্থিত একটি অবৈধ ও বেআইনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা হয়েছিল। যারা অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে, সচেতনভাবে বাংলাদেশে বিরাজনীতিকরণ প্রক্রিয়াকে সম্পন্ন করেছিল। সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পথ ধরে আজকে আওয়ামী লীগ একইভাবে বিরাজনীতিকরণ প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, এখনো সময় আছে পদত্যাগ করুন। না হলে এ দেশের মানুষ জাগ্রত হয়ে বাধ্য করবে। আসুন, সব রাজনৈতিক দল মিলে আমরা এই সরকারকে বিদায় দেওয়ার জন্য বৃহত্তর ঐক্য গঠন করি। আমাদের ভোটাধিকার রক্ষা করার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে এই সরকার সরানোর আন্দোলন করি। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিবুন নবী খান সোহেল আজকের মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন। এ সময় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দীন আলম, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।