নির্বাচন এলে বিএনপি অভিযোগের বাক্স খুলে বসে বলে অভিযোগ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। শনিবার সকালে নির্মাণাধীন পোর্টকানেক্টিং রোডসহ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন চলমান বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সামনে এসব কথা বলেন তিনি। গত ২৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া দেশের ২৪টি পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবির পর দলটির নেতাদের বক্তব্যেও প্রসঙ্গ টেনে হাছান মাহমুদ বলেন, সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের পক্ষে আর বিএনপির মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে রায় দিচ্ছে জনগণ। কিন্তু জনগণের এই রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা না দেখিয়ে গণতান্ত্রিক নির্বাচনী ব্যবস্থাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে বিএনপি। অতীতের মতো আসছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়েও বিএনপি অভিযোগের বাক্স সাজানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী। হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচন কমিশন যেভাবে নির্বাচনগুলো পরিচালনা করছে, জনগণের দৃষ্টিতে তারা অত্যন্ত সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করছে। দেশের অন্যান্য সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা নির্বাচনের মতো চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনও সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হবে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন ইভিএমে হবে। সুতরাং প্রযুক্তি-নির্ভর অন্যান্য নির্বাচনগুলো যেমন সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে হচ্ছে, এখানেও সেভাবে নির্বাচন হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমগ্র পৃথিবীব্যাপী প্রশংসিত হলেও দেশে একটি পক্ষ কখনো প্রশংসা করতে পারে না এমন মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান আমাদের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে, পাকিস্তানের টেলিভিশনের টক শো-তে আলোচনা হয় আমাদেরকে দয়া করে একজন শেখ হাসিনা দাও, আমাদের দেশকে বাংলাদেশ বানিয়ে দাও। আর ভারতের বিভিন্ন টেলিভিশন টক শো-তে ব্যাপক আলোচনা হয়, বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জিডিপি গ্রোথ রেটের ক্ষেত্রে এবং মাথাপিছু আয়ের ক্ষেত্রে ভারতকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে। ‘দেশ ও সমগ্র পৃথিবীব্যাপী প্রশংসিত হলেও দেশে একটি পক্ষ কখনো প্রশংসা করতে পারে না। প্রতিদিন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ তাদের দলের অন্যান্য নেতারা এবং কিছু কিছু বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচিত ব্যক্তি সরকারের উন্নয়নের প্রশংসা করতে পারেন না। তাদের বুদ্ধি আছে, কিন্তু আমাদের সরকার সম্পর্কে বলার সময় তাদের বুদ্ধি কেন লোপ পায় সেটি বুঝতে পারি না। তারা যেভাবে কথা বলেন, দেশে যে এত উন্নয়ন হয়েছে সেটি তারা দেখতে পান না, চোখ থাকতেও তারা অন্ধ। নতুন বছরে আমার প্রত্যাশা থাকবে, তাদের চোখটা অন্ধের মতো কাজ করবে না, চোখ খুলে তারা এসব বিষয় দেখবে, এটিই হচ্ছে জনগণের প্রত্যাশা।’-যোগ করেন হাছান মাহমুদ।