আগামী ১০ ডিসেম্বর উলানিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতি কেন্দ্রে ১ জন করে ম্যাজিষ্ট্রেট ও পর্যাপ্ত সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োগ দেয়ার জন্য বরিশাল জেলা প্রশাসক এস এম অজিউর রহমানের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন উত্তর উলানিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী নুরুল ইসলাম জামাল মোল্লা। রোববার উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিজুস চন্দ্র দের সভাপতিত্বে উত্তর-দক্ষিণ উলানিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় ও আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিশেষ সভায় এ অনুরোধ করেন তিনি। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ নাইমুর রহমান, বরিশাল জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ নুরুল আলম, থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আবিদুর রহমানসহ জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা। প্রধান অতিথি বরিশাল জেলা প্রশাসক অজিয়র রহমান তার বক্তব্যে বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর উত্তর উলানিয়া ও দক্ষিণ উলানিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন হবে। জনগণের ভোট নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি। মতবিনিময় সভায় উত্তরে নৌকা মনোনীত প্রার্থী জামাল মোল্লা বলেন, ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী হয়েও অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, কিছুদিন আগে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা তার কর্মীর বাড়িতে হামলা করে কয়েকজনকে জখম করেছে। তারা এখন বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রতিনিয়িত উপজেলা সদর থেকে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা তার নির্বাচনী এলাকায় আনাগোনা দিচ্ছে বলেও জানান তিনি। অবিলম্বে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান শুরু করার দাবি জানান নুরুল ইসলাম জামাল মোল্লা। দক্ষিণে নৌকার প্রার্থী কাজী আব্দুল হালিম চৌধুরী মিলন অভিযোগ করে বলেন, দলীয় প্রার্থী হিসেবে তার নাম ঘোষণার পর কতিপয় সন্ত্রাসীরা তাদের মাছঘাট বন্ধ করে দেয়। এরপর মনোনয়নপত্র দাখিলের পর তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে সন্ত্রাসীরা। সব প্রার্থী উলানিয়াকে ঐহিত্যবাহী এলাকা হিসেবে উল্লেখ করেন। জবাবে প্রশাসনিক কর্মকর্তারাও সেই ঐতিহ্যকে রক্ষা করতে সবাইকে সোচ্চার থাকার তাগিদ দেন। কোন ধরণের সন্ত্রাসী হামলা হলে বা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে থানা পুলিশকে অবগত করার পরামর্শ দিয়ে সহকারী পুলিশ সুপার বলেন, থানায় লিখিত অভিযোগ না দিতে এ্যাকশনে যেতে পারে না পুলিশ। তবে কোথাও আইন-শৃঙ্খলা অবনতি হওয়ার সংবাদ পেলে তাৎক্ষণিক ছুটে যান তারা। কিন্তু চুড়ান্ত আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয় লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর।