ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার মাদারগঞ্জ এলাকার মামুন রশিদ। পেশায় ছিলেন একজন নার্সারী ব্যবসায়ী। তিনি নার্সারি ব্যবসা করার পাশাপাশি তিনি বাড়তি উপার্জনের জন্য বাড়িতে গরু পালন করতেন। কিন্তু গরু কিনে আনার কিছুদিন পর বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যেত। এ ভাবে কিছুদিন পর পর গরু মারা যাওয়ায় মামুন রশিদ গরু পালন নিয়ে হতাশায় পড়ে যান। এ সময় বাড়ি থেকে গরুর রোগ জীবাণু দূর করার জন্য ঠাকুরগাঁও জেলার বেতার কেন্দ্র আরফিন ভাই এর পরামর্শ অনুযায়ী বাড়িতে ৪ টি ভেড়া নিয়ে আসেন। এর কিছুদিন পর একটা স্ত্রী ভেড়া কিনে আনার পর শুরু হয় দুই ভেড়ার সুখের সংসার। দিন বাড়ার সাথে সাথে ভেড়া বাচ্চা দিতে থাকে আর ৪ বছরেই মধ্যেই মামুন রশিদ এর বাড়িতে তৈরি হয় ভেড়ার খামার। এখন মামুন রশিদ খামারে ভেড়ার সংখ্যা ৩২ টিরও বেশি। এই ভেড়া বিক্রি করেই এখন চলছে মামুন রশিদ এর পরিবার। পাশাপাশি প্রতি বছর সঞ্চয়ও হচ্ছে ভালো অঙ্কের টাকা। মামুন রশিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ভেড়া পালনের জন্য যেমন বেশি পুঁজির প্রয়োজন হয় না, তেমনি বেশি খরচও হয় না। তাই অল্প পুঁজিতে ভেড়া পালনে অনেক লাভ পাওয়া যায়। মামুন রশিদ জানান, সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে ভেড়ার ঘরের দরজা খুলে দিলে দলবদ্ধভাবে তারা মাদারগঞ্জ বাজারসহ রাস্তা বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। বাজার, আবরজনা ডাস্টবিন ও রাস্তায় ফেলে দেয়া মানুষের খাবারের উচ্ছিষ্ঠ খেয়ে থাকে। সারা দিন এভাবে তারা নিজেদের খাবার নিজেরা খেয়ে সন্ধ্যায় আবার দল বেঁধে বাড়িতে চলে আসে। সন্ধ্যায় বাড়িতে এলে সামান্য ভুসি ও আটার সাথে পানি মিশিয়ে দিলে খেয়ে ঘরে শুয়ে থাকে। ভালো স্বাস্থ্যের অধিকারী একটি ভেড়া ৮/৯ হাজার টাকায় বিক্রি করা যায়। তার প্রতি মাসে আয় দশ হাজার টাকা,বছরে মামুন রশিদ উন্মুক্ত ভেড়ার খামার থেকে ভেড়া বিক্রি হয় এক লাখ ২০ হাজার টাকা।