রামগঞ্জ-হাজীগঞ্জ সড়ক মৃত্যুর ফাঁদে পরিণত হয়েছে দেখ ভাল করার কেউ নেই। সড়কের দু’পাশে স-মিলের গাছের গুঁড়িসহ নানা অবৈধ ¯’াপনার কারণে সড়কটি বেহাল দশায় পড়ে রয়েছে। দুই যুগ ধরে সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে একের পর এক বরাদ্দের কাজ হলেও নেই কোনো কাজের উন্নতি। জানা গেছে, ঠিকাদার মূল সড়কের কাজের বাইরে দু’পাশের মাটি না ফেলে কাজ শেষ করে চলে যান। এ সুযোগে কিছু প্রভাবশালী চক্র সড়কের পাশে স-মিলের গাছের গুঁড়িসহ নানা অবৈধ ¯’াপনা ও নির্মাণসামগ্রী, ইট, বালু ফেলে রাখেন। আর এসব অনিয়ম চোখে পড়ে না কর্তৃপক্ষের। সরেজমিন দেখা গেছে, রামগঞ্জ-হাজীগঞ্জ মহাসড়কটি মাত্র ২০ কিলোমিটারের মধ্যে লক্ষীপুরের রামগঞ্জে অংশে পড়েছে ১০ কিলোমিটার, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় পড়েছে বাকি অংশ। ১৯৯৮ সালে সড়কটি কাঁচা থেকে পাকা সড়কে রূপান্তরিত হয়। ২০০৪ সালে সড়কটি পাকা সড়কে রূপ লাভ করে। এরপর ২০১৩ সালে পুরো সড়ক সংস্কারের পর সর্বশেষ ২০১৮ সালে প্রায় কোটি টাকা বাজেটে সংস্কারের কাজ সম্পন্ন হয়। কিš‘ সড়কের দুপাশে সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য মাটি না ফেলায় সড়কের ওপর দিয়ে পথচারী, সাধারণ লোকজনকে চলাচল করতে হয়। এ ছাড়া রামগঞ্জ পৌর পরিষদ সংলগ্ন বাইপাস সড়ক হয়ে সোনাপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত সড়কের দুপাশ ¯’ানীয় প্রভাবশালীদের দখলে রয়েছে। সড়কের পাশে বিশেষ করে জায়গায় জায়গায় গাছের গুঁড়ি, ইটের স্তূপ, চামড়ার ট্যানারি, মাছের বাজারসহ বিভিন্ন যানবাহন ও অবৈধ দোকানঘর রয়েছে। এসব অবৈধ ¯’াপনার বিষয়ে কোনো নজর নেই পৌর প্রশাসন এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের। যে কারণে যানবাহন ও সাধারণ পথচারী চলাচল করতে গিয়ে পড়তে হ”েছ দুর্ঘটনার কবলে। সাধারণ মানুষ সড়কের পাশ দিয়ে চলাচল করতে না পেরে বাধ্য হয়ে সড়কের উপর দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে মৃত্যুর ফাঁদে পড়ছেন। ¯’ানীয় পথচারীরা বলেন, সড়কের পাশ দিয়ে জায়গা না থাকায় বাধ্য হয়ে সড়কের ওপর দিয়ে চলাচল করছি।