ডিএমএফ পাশ করে নামের সাথে ডাক্তার উপাধি লাগানো মোঃ আনোয়ারুল আবেদিনকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ মাসের কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় লাইসেন্সবিহীন ব্যবসা পরিচালনার দায়ে লক্ষ্মীপুর আল নুর চক্ষু হাসপাতালকে সিলগালা ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ৯ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকেলে জাতীয় গোয়েন্দা নিরাপত্তা সংস্থা (এনএসআই) এর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা করেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শফিকুর রিদোয়ান আরমান শাকিল। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে আল নূর চক্ষু হাসপাতালে ডাক্তারের সহকারী হয়ে ডাক্তার পদবী ব্যবহার করে আসছেন আনোয়ারুল আবেদিন। এমন অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ডাক্তার পদবী ব্যবহারকারী আনোয়ারুলকে ১ মাসের জেল অনাদায়ে ৩০ হাজার টাকা এবং হাসপাতাল ভবন মালিক নুর রহমানকে ৫ হাজার টাকা, একই সাথে অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনার দায়ে স্টার গেষ্ট হাউজকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযান পরিচালনার সময় উপস্থিত ছিলেন, এনএসআই’র উপ সহকারী পরিচালক মানিক দে, সিভিল সার্জন প্রতিনিধি ও সদর হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার (ইএমও) ডা: মোঃ ইকবাল হোসেন ও এনএসআই’র ফিল্ড অফিসার রাজিব কর। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শফিকুর রিদোয়ান আরমান শাকিল জানান, লাইসেন্সবিহীন, বিনা অনুমতিতে ব্যবসা পরিচালনা ও ডাক্তারের সহকারী হয়ে ডাক্তার পদবী ব্যবহারের দায়ে আল নুর চক্ষু হাসপাতাল নামের একটি প্রতিষ্ঠান সীলগালা এবং সংশ্লিষ্টদের জরিমানা করা হয়। এছাড়াও অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালানার দায়ে ষ্টার গেষ্ট হাউজকে জরিমানা করা হয়। এদিকে, গত ৩১ আগষ্ট জেলা সিভিল সার্জন ডা: মো: আব্দুল গফফার স্বাক্ষরিত এক পত্রে ডাক্তার, প্যাথলজী ও হাসপাতালকে বিএমডিসির স্বীকৃত ডিগ্রী ছাড়া অন্য ডিগ্রী ব্যবহার না করতে নোটিশ দিয়েছেন সিভিল সার্জন। বিএমডিসি থেকে স্বীকৃত নয় এসব ডিগ্রীকে বিএমডিসি পরিপত্র জারি করে প্রতারণামূলক কাজ বলে অভিহিত করেছেন। অথচ নোটিশ পাওয়ার পরও লক্ষ্মীপুরে ডাক্তারদের এসব ডিগ্রী ব্যবহার অহরহ চলছে।