বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ এর সভাপতি শ্রী মিলন কান্তি দত্ত ও সাধারন সম্পাদক শ্রী নির্মল কান্তি চ্যাটার্জিসহ ফরিদপুর জেলা পূজা উদযাপন কমিটি সভাপতি ড. যশোদা জীবন দেবনাথ ও কমিটির অন্যান্য নেতা কর্মিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা দায়ের কৃত মামলার প্রতিবাদে জেলা থানা, ও পৌর কমিটির উদ্যোগে বিশাল এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখ সকাল ১১ঘটিকার সময় সনাতন ধর্মালম্বিদের ঐতিহ্যবাহি শ্রীধাম শ্রীঅঙ্গন এর সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।এছাড়াও জেলার প্রতিটি উপজেলায় একযোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ফরিদপুর জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারন সম্পাদক অরুন কুমার মন্ডল, সিনিয়র সহ-সভাপতি অসীম সাহা, সহ-সভাপতি তাপস সাহা, ডাঃ প্রকাশ স্বরুপ রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক অজয় রায়সহ অন্যান্য নেতা কর্মিরা বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও প্রায় সহাস্রাধীক প্রতিবাদি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন মানববন্ধনে অংশগ্রহন করেন। এ সময় বক্তারা বলেন দীর্ঘ ১৮ বছর যাবত স্থায়ী কমিটি ও গঠনন্ত্রের তোয়াক্কা না করে সুকেশ সাহার নিজ ক্ষমতা বলে নিজেকে সেক্রেটারি পদ ঘোষনা করে এবং কমিটিতে নিজের পছন্দমত লোক বসিয়ে বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করেছে। সম্প্রতি বাংলাদেশে পূজা উদযাপন পরিষদ,কেন্দ্রীয় কমিটির সিন্ধান্ত অনুযায়ী ড. যশোদা জীবন দেবনাথ কে ফরিদপুর জেলা পূজা উদযাপন কমিটি সভাপতি হিসাবে ঘোষনা করায় হিন্দু সম্প্রদায় এক আশার আলো দেখতে পেয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের চাহিদানুযায়ী যতটুকু উন্নয়ন এই ১৮ বছরে হয়নি, নতুন কমিটি ঘোষনার ২ মাসের মধ্যেই ঐ চাহিদার অনেকটাই পুরন সক্ষম হয়েছেন বর্তমান সভাপতি ড. যশোদা জীবন দেবনাথ। কিন্তু ক্ষমতালোভী সুকেশ সাহাসহ এ্যাড. লক্ষন ও অন্যান্য কুচক্রি ব্যাক্তিরা বর্তমান ফরিদপুর জেলা পূজা উদযাপন কমিটিকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করার ষড়যন্ত্র করে আসছে। বক্তারা আরো বলেন বর্তমান সম্প্রতি ফরিদপুর জেলার হিন্দু সম্প্রদায়কে কলুষিত করাসহ বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কাজ থেকে বিরত রাখার জন্য এ্যাড. লক্ষন নামে এক ব্যক্তি জেলা পূজা কমিটির বিরুদ্ধে অযাথিত একটি মামলা দায়ের করেছে যার নম্বর ২১০, তারিখ ৩০/০৯/২০২০। তিনি একজন এ্যাডভোকেট হয়ে মামলার এজাহারে যে সকল অভিযোগ এনেছেন তা সম্পুর্নই হাস্যকর এবং মনগড়া। যেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন যশোদা জীবন দেবনাথের বাড়ি ফরিদপুর শহরে নয়, তিনি পুজা উদযাপন কমিটির সাথে যুক্ত ছিলেননা, তিনি একজন ব্যবসায়ী বিধায় জেলা পুজা উদযাপন কমিটিকে সময় দিতে পারবেননা, এমনই সব মনগড়া কথা মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন। তারা বলেন এই লক্ষন একজন এ্যাডভোকেট হয়ে কিভাবে মামলা করতে হয়, কি অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হয়, সেগুলি তিনি অবগত নন বা জানেন না। এমনকি তিনি যে এ্যাডভোকেট পরিচয় দিচ্ছেন সে ব্যাপারটাও সন্দেহ লাগছে উক্ত হাস্যকর মামলা অভিযোগ দেখে। ফরিদপুর জেলা পূজা উদযাপন কমিটি নেতা কর্মিরা জানান, লক্ষনের অন্য একটি পরিচয় এ্যাডভোকেট হলেও তিনি প্রকৃত এজন ধর্ষনকারি। তারা বলেন, গত ৯০ এর দশকে ফরিদপুর শহরের শোভারামপুর এলাকার একজন সভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের মেয়েকে ধর্ষন করে রক্তাত্ব ও মুমুর্ষ করে ফেলে এই লক্ষন। জেলা কমিটির সদস্য পদে লক্ষন রয়েছেন সেই পদটি থেকেও তাকে দ্রুত সরিয়ে দেয়ার দাবি উঠেছে। ফরিদপুর জেলার হিন্দু সম্প্রদায়কে কলুষিত করার জন্য এ্যাড. লক্ষন জেলা পূজা কমিটির বিরুদ্ধে যে মামলা দায়ের করেছে, তা নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের মাঝে তুমুল ঝর উঠেছে। অতি দ্রুত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে এ্যাডভোকেট লক্ষনকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ফরিদপুর জেলার হিন্দু সম্প্রদায়।