মাগুরা সদর উপজেলার হাজিপুর গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় বৃদ্ধ কৃষক সেকেন্দার মোল্লা ও তার দুই পুত্র গুরুত্বর আহত হয়েছে। আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার দুপুরে গ্রামের প্রতিপক্ষ দলের লোকেরা পুর্বপরিকল্পিত ভাবে হামলার ঘটনা ঘটায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কৃষক সেকেন্দার মোল্লার ছোট ছেলে আহত সবুজ মোল্লা জানান, গতকাল বিকাল ৩টার দিকে বড় ভাই (কিছুটা মানুষিক প্রতিবন্ধী) আনিচুর মোল্লা (৪০) হাজিপুর লক্ষিখোল উত্তর পাড়ার মাঠে আবাদি জমিতে ঘাস নিড়ানোর কাজ করছিলো। ভর দুপুরে নির্জন মাঠে কাজ করার সময় জমিজমা সংক্রান্ত রিরোধে প্রতিবেশি রুলু মোল্লা (৪৮) তার ছেলে নাঈম হোসেন (২০) সহ অন্যরা তার উপর হামলা চালায়। এ সময় লাঠিপেটাসহ তার গলায় রশি দিয়ে পেচিয়ে ধরলে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে পাশে খালের মধ্যে পড়ে গেলে তাকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ সময় তার চিৎকার চেঁচামেচিতে মাঠের অদুরে থাকা গ্রামের বাবুল হোসেনসহ অন্যরা ছুটে এসে তাকে রক্ষা করে। এ ঘটনা শুনে সবুজ ও তার বৃদ্ধ বাবা ঘটনাস্থলে গেলে তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠিসোঁটা ও রড দিয়ে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে হামলা চালায় প্রতিপক্ষের রুলু মোল্লা ও তার সহযোগীরা। পরে গুরুত্বর আহত অবস্থায় প্রতিবেশিরা তাদের উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যার হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন। রডের আঘাতে পিতা সেকেন্দার মোল্লার অবস্থা আশংকাজনক বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, প্রতিবেশি ও গ্রামের সামাজিক প্রতিপক্ষ দলের সদস্য রুলু মোল্লার সাথে তাদের পুর্বের শত্রুতা রয়েছে। সম্প্রতি ঘটনাস্থলের ওই জমিটি অন্যের থেকে বর্গায় নিয়ে চাষাবাদ শুরু করেছেন তারা। প্রতিপক্ষ রুলু মোল্লা জমিটি বর্গা চাষের জন্য নিতে চেষ্টা চালায়। কিন্তু তা না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে এই হামলার ঘটনা ঘটায় বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ ব্যাপারে স্থানীয় হাজিপুর পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এস আই আনোয়ার হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তারা। গ্রাম্য সামাজিক দলাদলি ও জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ সৃষ্টির জন্য দুই পরিবারে মাঝে এই ঘটনা ঘটে। আহত পিতা পুত্রসহ পরিবারের তিন জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।