নাটোরে ভূমি দখলকারী চক্রের হাত থেকে পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষার দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। বুধবার সকাল ১০টার দিকে নাটোর ইউনাইটেড প্রেসক্লাবের কনফারেন্সরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জমির মালিক মরহুম রহমত আলীর ছেলে ভুক্তভোগী গোলাম রাব্বানী রনি। লিখিত বক্তব্যে রনি দাবি করেন, ব্যবসায়ী মরহুম রহমত আলী ব্যবসা বানিজ্য করে নাটোর শহরের বড়হরিশপুর এলাকায় কিছু জমি ক্রয় করেন। তার জীবদ্দশায় তার বিরুদ্ধে .৯২শতক জমি নিয়ে মরহুম হযরত আলী গং তিনটি মামলা দায়ের করেন। ওই তিনটি মামলায় রায় হয় মরহুম রহমতের পক্ষে। এরপর ২০২০ সালে রহমত আলী মৃত্যুবরণ করলে ভূমিগ্রামী ওই সম্পত্তি বেদখল করতে তৎপর হয়। ভূমিগ্রাসী চক্রটি ভুক্তভোগী গোলাম রাব্বানী রনির কাছে মোটা অংকের চাঁদা চান। এসময় চাঁদা না দিলে জোরপূর্বক সম্পত্তি দললের হুমকি দেওয়া হয়। এঅবস্থায় ভূমিগ্রাসী চক্রটি রহমতের পরিবারের সদস্যদের মোটা অংকের টাকা ও বিভিন্ন লোভ দেখিয়ে একটি মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ সম্মেলন করান। এঅবস্থায় সোমবার দুপুরে হযরত আলীর পরিবারের সমস্যরা এসে রহমত আলীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসে অবস্থান নেয় এবং ভাড়াটিয়াদের দোকান ছেড়ে দিতে হুমকি প্রদান করে। এছাড়া মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানের স্টাফদের বিতাড়িত করে হযরত আলীর পরিবারের সদস্যরা। মরহুম রহমত আলীর স্ত্রী রুবিয়া বেগম জানান, আমার বৈধ সম্পত্তি দখল করতে নানা রকম পায়তারা চালাচ্ছে। আমার সম্পত্তি রক্ষার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে মরহুম রহমত আলীর স্ত্রী রুবিয়া বেগম, মেয়ে আফরোজা পারভীন রোজী, ডেইজি পারভীন উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে হযরত আলীর ছেলে হাসান এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এটি তার পৈতৃক সম্পত্তি। তিনি নন, বরং রহমত প্রাং ও তার পরিবারের সদস্যরা অবৈধভাবে এ জমি দখল করে আসছেন। তিনি দরিদ্র মানুষ। তিনি ও প্রধান মন্ত্রী এবং স্থানীয় সংষদ সদস্যের কাছে ন্যায় বিচার দাবি করেন।