নড়িয়া উপজেলার করনহোগলা গ্রামের মহিলাদের জমি জবর দখল করে গাছের চারা রোপন করার অভিযোগ পাওয়া গেছ্।ে এ ঘটনায় নড়িয়া থানায় অভিযোগ করা হলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। দলখলদার বলছেন, বিবাদমান জমি ৩৪ শতাংশ আমরা বিক্রি করেছি। ক্রেতারা দ্বিগুন দখল করে গাছপালা কেটে নিয়ে গেছে। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। পুলিশ বলছে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব। জমির মালিক নায়না খান ও নাঈমা খান ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলা করনহোগলা গ্রামের নায়না খান ও নাঈমা খান ১৯৯৮ সনে স্থানীয় নাসির উদ্দিন আহম্মেদ ওরফে ফারুক আহম্মেদ চৌধুরীর কাছে থেকে ৮০ নং করন হোগলা মৌজার এসএ ২০৫ খতিয়ানের ৯৩, ৯৪, ৯৫ দাগে এস এ ২০৬ খতিয়ানের ৯৩, ৯৪, ৯৫ দাগে ২০৭ নং খতিয়ানের ৯৩, ৯৪, ৯৫ও ৯৬ দাগে মোট ৬০ শতাংশ জমি সাব কবলা দলিল মূলে ক্রয় করে মালিক হয়। উক্ত জমি বিক্রির পর থেকেই বিক্রেতা ও তার লোকজন জমির দখল বুঝিয়ে দিতে তালবাহানা করে। এ কারনে ক্রেতা নায়মা ও নাঈমা বাদী হয়ে সহকারী জজ নড়িয়া আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা দায়ের করে। ২০১৯ সালের ১৪ জুন আদালতের বিচারক উক্ত মামলার রায় ঘোষনা করেন। রায়ে আদালতের বিচারক শরীয়তপুর জজকোর্টের আইনজীবি এড. সাহাদাত হোসেনকে কমিশন করে জমিটি পরিমাপ করে ১ম পক্ষ তথা নায়না ও নাঈমাকে বুঝিয়ে দেয়ার আদেশ দেয়। সে মতে আইনজীবি সাহাদাত হোসেন কোর্টের আদেশ পেয়ে ২০২০ সালের ২২ আগষ্ট জমিটি পরিমাপ করে সীমানা পিলার পুতে দখল বুঝিয়ে দেয়। এরপর থেকে নায়না ও নাইমা ঐ জমিতে দখলদার হয়ে ভোগ দখল করছে। এমতবস্থায় গত মঙ্গলবার সকালে খালি বাড়ি পেয়ে নাসির উদ্দিন আহম্মেদ ওরফে ফারুক চৌধুরী ও তার ছেলে আশরাফ কামাল চৌধুরী , ইরতেজা হাচান চৌধুরী, নুরে জামাল চৌধুরী সহ ১০/১২ জন লোক নিয়ে ঐ জমিতে বাশের বাউন্ডারী ভেঙ্গে ঐ স্থানে নানা জাতের গাছের চারা রোপন করেছে বলে নায়না বেগমের স্বামী সাজিদ হোসেন অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনার পর নড়িয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এ ঘটনায় নড়িয়া থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।তবে বিক্রেতার ছেলে ইরতেজা হাসান চৌধুরী বলছেন, মাত্র ৩৪ শতাংশ জমি তার বাবা নাসির উদ্দিন ওরফে ফারুক চৌধুরী বিক্রি করেছে। ওরা দলিল করার সময় ৬৮ শতাংশ লিখে নিয়ে জমির গাছপালা কেটে নিয়ে গেছে। মোঃ সাজিদ হোসেন বলেন,আমার স্ত্রী নায়না ও শালিকা নাঈমা এ জমি ক্রয় করে মালিকানা হয়েছে। বিক্রেতারা জমির দখল নিয়ে তালবাহানা করছিল। আমরা আদালতের স্বরনাপন্ন হয়েছিলাম। আদালত আমাদেরকে জমি পরিমাপ করে দখল বুঝিয়ে দেয়। উক্ত জমিতে জবর দখল করে মঙ্গলবার বিক্রেতারা গাছপালা লাগিয়েছে। আমরা এর চিার চাই। ফারুক চৌধুরীর ছেলে ইরতেজা হাসান চৌধুরী বলেন, আমার বাবা ৩৪ শতাংশ জমি বিক্রি করেছেন। ঐ সময় ওরা কারসাজি করে ৬৮ শতাংশ জমি লিখে নিয়ে গেছে। ঐ জমিতে আমাদের গাছপালা কেটে নিয়ে গেছে। আমরা আমাদের জমিতে গাছ লাগিয়েছি। আমরা তাদের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছি। এ ব্যাপারে নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বলেন, গটনাস্থালে পুলিশ পাঠিয়ে ছিলাম। উভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।